
সুদানের দারফুর অঞ্চলের আল-ফাশার শহরে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর সাম্প্রতিক গণহত্যা এবং ধর্ষণের প্রমাণ সংগ্রহ করছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রসিকিউটররা। সোমবার (৩ নভেম্বর) আইনজীবীদের বরাতে রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৫ সাল থেকে দারফুরে সংঘটিত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত করছে আইসিসি। ২০২৩ সালে বর্তমান গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার অনেক আগে থেকেই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ মামলাটির কথা প্রথম উল্লেখ করে।
আইসিসির প্রসিকিউটররা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘চলমান তদন্তের মধ্যে (আদালত) আল-ফাশারে অভিযুক্ত অপরাধের বিষয়ে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতে মামলায় ব্যবহারের জন্য প্রাসঙ্গিক প্রমাণ সংরক্ষণ এবং সংগ্রহ করা যায়।’
এখন পর্যন্ত ৭০ হাজারের বেশি মানুষ শহর ছেড়ে পালিয়েছে। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা গণমাধ্যমগুলোকে পথে নিরীহ জনতার ওপর আরএসএফ-এর হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতনের কথা জানিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দারফুরে যে সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে, তার মধ্যে পূর্ববর্তী ঘটনাগুলোর লক্ষণ রয়েছে। আগের ঘটনাগুলোকেও ব্যাপকভাবে গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। শহরে আটকাপড়া প্রায় ২ লাখ মানুষের ভাগ্য এখনো অজানা।
রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির প্রধান সপ্তাহান্তে রয়টার্সকে বলেছিলেন, আরএসএফ’র আল-ফাশার দখলের মাধ্যমে দারফুরে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটছে। এর ফলে সুদানের এক-চতুর্থাংশেরও বেশি অঞ্চলের কার্যত নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে চলে গেছে।
প্রসঙ্গত, গত মাসে হেগ-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ২০ বছরেরও বেশি সময় আগে দারফুরে সংঘটিত নৃশংসতার জন্য বিচারের মুখোমুখি হওয়া প্রথম জানজাউইদ মিলিশিয়া নেতাকে দোষী সাব্যস্ত করে।