
গত সপ্তাহে বর্ধিত যুদ্ধবিরতি সইয়ের পর উত্তেজনা কমানোর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়া বিতর্কিত সীমান্ত থেকে ভারী অস্ত্র প্রত্যাহার এবং মাইন অপসারণ অভিযান শুরু করেছে। সোমবার (৩ নভেম্বর) থাই কর্মকর্তাদের বরাতে রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা পাঁচ দিনের মারাত্মক সংঘর্ষে রূপ নিয়েছিল। তিন মাস পর গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে মালয়েশিয়ায় থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার শীর্ষ নেতারা একটি বর্ধিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই করেন।
থাই সরকারের মুখপাত্র সিরিপং আংকাসাকুলকিয়াত বলেছেন, চুক্তি বলেও সংঘাতের পর থেকে আটক ১৮ জন কম্বোডিয়ান সৈন্যকে মুক্তি দেওয়া হবে না কিংবা সীমান্ত চেকপয়েন্ট পুনরায় খুলবে না, যতক্ষণ তারা দেখতে পায় কম্বোডিয়া চুক্তি মেনে চলছে।
থাই প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল সুরসান্ত কংসিরি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সীমান্তে মাইন অপসারণ অভিযান শুরু হয়েছে। থাইল্যান্ড ১৩টি এলাকায় এবং কম্বোডিয়া একটি এলাকায় স্থলমাইন অপসারণের প্রস্তাব দিয়েছে।
গত শুক্রবার দুই দেশ এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা তিন ধাপে সীমান্ত থেকে ভারী অস্ত্র প্রত্যাহার করতে সম্মত হয়েছে, যার মধ্যে রকেট সিস্টেম, আর্টিলারি এবং তারপরে ট্যাঙ্ক এবং অন্যান্য সাঁজোয়া যান রয়েছে।
এরপর শনিবার কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এসব প্রত্যাহারের প্রথম ধাপটি ১ নভেম্বর থেকে তিন সপ্তাহ ধরে চলবে।
অপরদিকে থাই মুখপাত্র সুরসান্ত জানায়, আমরা আশা করছি বছরের শেষ নাগাদ ভারী অস্ত্র প্রত্যাহার সম্পন্ন হবে। দুই দেশ আন্তঃজাতিক সাইবার অপরাধ মোকাবেলায় যৌথ প্রচেষ্টা জোরদার করেছে এবং বিতর্কিত সীমান্ত এলাকায় জরুরি যৌথ সীমানা নির্ধারণের জন্য কাজ করছে।
প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসে পাঁচ দিনের যুদ্ধে কমপক্ষে ৪৮ জন নিহত এবং উভয় পক্ষের লাখ লাখ লোক অস্থায়ীভাবে বাস্তুচ্যুত হয়। এটি ছিল কয়েক দশকের মধ্যে দুই দেশের সবচেয়ে ভয়াবহ লড়াই। এরপর মার্কিন সম্পৃক্ততায় এশিয়ান মধ্যস্থতায় ২৮ জুলাই একটি প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি সই হয়।