
ঢাকাই সিনেমার অমর নায়ক সালমান শাহ। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরপারে চলে গেছেন তিনি। মৃত্যুর এত বছর পরও দর্শকদের কাছে আজও সমান জনপ্রিয় ঢালিউডের এই হার্টথ্রব নায়ক। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সালমান শাহ’র জন্মদিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। এদিন সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের অনেকে স্মরণ করছেন প্রিয় নায়ককে।
মাত্র সাড়ে তিন বছরের ক্যারিয়ারে সালমান সবচেয়ে বেশি সিনেমা করেছেন শাবনূরের সঙ্গে। সালমান-শাবনূর জুটির রসায়নে মন ভরে গিয়েছিল দেশের সিনেমাপ্রেমীদের। ঢালিউডের অন্যতম জুটিতে পরিণত হন তারা। এতটাই সমাদৃত হন যে আজও সালমান নামটি নিলেই উঠে আসে শাবনূরের নাম।
সালমানের জন্মদিনে সহকর্মীরা যখন তাকে স্মরণ করলেন তখন শাবনূরও প্রিয় সহকর্মীকে নিয়ে জানালেন অনুভূতি। নিজের ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘শুভ জন্মদিন স্বপ্নের নায়ক। বাংলা চলচ্চিত্রের ধ্রুবতারা প্রয়াত সালমান শাহ এক অকৃত্রিম ভালোবাসার নাম, এক ইতিহাসের নাম।’
এরপর তিনি যোগ করেন, ‘প্রিয় এই নায়ক এখনও আমাদের সবার হৃদয়ে, ভাবনায়, অনুভবে বেঁচে আছে – বেঁচে থাকবে চিরকাল। তার কালজয়ী চলচ্চিত্রগুলো আজও দর্শকদের মনে বিশেষ স্থান দখল করে আছে। সালমান শাহ্ পরবর্তী সময়ে যারা চলচ্চিত্রে নায়ক হওয়ার জন্য এসেছেন তারা প্রত্যেকেই বলেছেন, সালমান শাহ-ই ছিলেন তাদের অনুপ্রেরণার প্রধান উৎস।’
সবশেষে সালমান শাহের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শাবনূর লিখেছেন, ‘জন্মদিনে বরাবরের মতো পরম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করছি তোমাকে। আল্লাহপাক তোমায় জান্নাতবাসী করুন, আমিন।’
প্রসঙ্গত, ১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবি দিয়ে চলচ্চিত্রে আগমন ঘটে সালমান শাহর। স্মার্টনেস ও ব্যক্তিত্ববোধের কারণে রাতারাতি তরুণ প্রজন্মের আইকনে পরিণত হয়ে ওঠেন এ নায়ক। মাত্র সাড়ে তিন বছরের ক্যারিয়ারে ২৭টি ছবি করেন। যার অধিকাংশই সুপারহিট। মৌসুমীর সঙ্গে জুটি বেঁধে চলচ্চিত্রে পা রাখলেও সালমানের বেশিরভাগ ছবির নায়িকা ছিলেন শাবনূর। এই জুটি তখন এমন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল যে, তাদের কোনো ছবি মুক্তি পেলেই দর্শক প্রেক্ষাগৃহে হুমড়ি খেয়ে পড়তেন।