
আফগানিস্তানের সঙ্গে সামরিক সংঘর্ষের পর সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে পাকিস্তান। সপ্তাহজুড়ে দুই পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে কয়েক ডজন লোক নিহত হওয়ার পর সোমবার (১৩ অক্টোবর) এই সতর্কতা জারি করা হয়।
সেই সঙ্গে পাকিস্তান ২ হাজার ৬০০ কিলোমিটার সীমান্তের ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়ায় প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে।
পাকিস্তানের একজন জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, আফগান তালেবান বাহিনীর অযৌক্তিক হামলার পর শনিবার থেকে সমস্ত প্রবেশপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আরেকজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রোববার রাতে ছোট অস্ত্রের গোলাগুলির কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। তবে সামগ্রিক পরিস্থিতি শান্ত ছিল।
পাকিস্তানি সামরিক মুখপাত্রের কার্যালয় থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধের জবাব দেওয়া হয়নি।
আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এনায়েতুল্লাহ খোয়ারাজমি রয়টার্সকে বলেছেন, সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে তিনি বিস্তারিত আর কিছু জানাননি।
পাকিস্তানের একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যানবাহন এবং পথচারীদের জন্য সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ থাকায় সীমান্তে বাণিজ্য এবং অন্যান্য প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে কাজ করা সমস্ত পাকিস্তানি সরকারি অফিস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
পাক-আফগান জয়েন্ট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহ-সভাপতি জিয়া উল হক সারহাদি বলেছেন, সীমান্তের উভয় পাশেই কন্টেইনার এবং ট্রাকসহ মালামাল-বোঝাই যানবাহন আটকে আছে। এতে দুই দেশেরই ব্যবসায়ীদের লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হচ্ছে।
এদিকে, আফগান-পাক সংঘর্ষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তিনি আশা করেন, এই সংঘাতের অবসান ঘটাতে তিনি সহায়তা করতে পারেন।