
সরকারবিরোধী বিক্ষোভ তীব্র হওয়ার প্রেক্ষাপটে ইন্দোনেশিয়ার সংসদ সদস্যদের সুযোগ-সুবিধা বাতিল বাধ্য হয়েছেন প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো। সেই সঙ্গে ঘোলাটে এই পরিস্থিতিতে নিজের চীন সফর বাতিল করেছেন তিনি।
রোববার (৩১ আগস্ট) প্রাবোও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জরুরি বৈঠক করে বিক্ষোভকারীদের দাবিগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেন। সরকারবিরোধী বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে এটিকে একটি বড় ধরনের ছাড় হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে প্রাবোও সুবিয়ান্তোর বেইজিংয়ে এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের কথা ছিল। তার পরিবর্তে আজ রোববার স্থানীয় সময় বিকালের দিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুগিওনো এবং উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরমানাথ নাসির রোববার বিকালে চীনে পৌঁছান।
এর আগে শনিবার রাতে প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র প্রসেতিও হাদি নিশ্চিত করেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইন্দোনেশিয়াজুড়ে ছড়িয়ে পড়া অস্থিরতার কারণে প্রেসিডেন্ট প্রাবোওকে চীনে সরকারি সফর বাতিল করতে হয়েছে।
হাদি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট সরাসরি অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে চান, যাতে অস্থিরতার সর্বোত্তম সমাধানের নেতৃত্ব দেওয়া যায়।’
প্রাবোওয়ের মুখপাত্র জোর দিয়ে বলেন, প্রেসিডেন্ট সাবধানতার সঙ্গে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যাতে তার অনুপস্থিতি ইন্দোনেশিয়া-চীনের স্থায়ী সুসংগত সম্পর্কের ওপর প্রভাব না ফেলে।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো তাদের আমন্ত্রণ পূরণ করতে না পারার জন্য চীনা সরকারের কাছে বিনীতভাবে ক্ষমা চেয়েছেন।’
২৫ আগস্ট জাকার্তায় পার্লামেন্ট সদস্যদের অনুমিত বিলাসবহুল ভাতার বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভের মাধ্যমে শুরু হওয়া এই আন্দোলন দ্রুত বান্দুং, পশ্চিম জাভা, সুরাবায়া, পূর্ব জাভা, যোগিয়াকার্তা, সোলো, মধ্য জাভা এবং মাকাসার, দক্ষিণ সুলাওসিসহ একাধিক অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।
২৮ আগস্ট রাতে জাকার্তায় পুলিশের গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে তরুণ আফান কুর্নিয়াওয়ানের মৃত্যু বিক্ষোভের আগুনে ঘি ঢেলে দেয়। ৩০ আগস্ট জনতা প্রাদেশিক পার্লামেন্ট ভবনসহ বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতার বাসভবনে অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুর চালানোর পর উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়।