
ঘরের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে এভারটনের বিপক্ষে ম্যাচে সতীর্থ মাইকেল কিনকে চড় মেরে লাল কার্ড দেখেছেন এভারটনের মিডফিল্ডার ইদ্রিসা গানা গ্যেয়ে।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত ম্যাচের ১৩ মিনিটেই সেনেগাল মিডফিল্ডার গ্যেয়ের এই আচরণের কারণে এভারটনকে ১০ জনে পরিণত হতে হলেও, রুবেন আমোরিমের দল ম্যান ইউনাইটেড একজন বেশি খেলোয়াড়ের সুবিধা কাজে লাগাতে পারেনি এবং শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি ১-০ ব্যবধানে হেরেছে। হারের পর ইউনাইটেড কোচ রুবেন আমোরিম পুরোনো কথাই আবার নতুন করে শুনিয়েছেন—তার দল প্রিমিয়ার লিগে লড়াই করার মতো অবস্থায় নেই।
ম্যাচের সবে ১০ মিনিট পেরিয়েছে, এমন সময় এভারটন ডিফেন্সে ম্যান ইউনাইটেডের একটি আক্রমণ প্রতিহত হওয়ার পর মিডফিল্ডার গ্যেয়ে বল কেড়ে নিয়ে ক্লিয়ার করার জন্য পাশে দাঁড়ানো মাইকেল কিনকে দেন। কিন্তু কিন বল ক্লিয়ার না করায় ব্রুনো ফের্নান্দেস শট নিয়েছিলেন। যদিও সে যাত্রা শটটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় এভারটন বেঁচে যায়। তবে বল ক্লিয়ার না করায় কিনের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় শুরু হয় গ্যেয়ের।
মেজাজ হারিয়ে একপর্যায়ে কিনকে চড় মেরে বসেন গ্যেয়ে, যার ফলস্বরূপ রেফারি তাকে লাল কার্ড দেখান। ১০ জনে পরিণত হওয়ার পরও হাল ছাড়েনি এভারটন। ২৯ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে বল পেয়ে দারুণ দক্ষতায় দুজনকে ড্রিবল করে বক্সের ঠিক লাইন থেকে কোনাকুনি শটে ম্যান ইউনাইটেডের জালে বল জড়ান কিয়েরনান ডেউসবারি হল। এই গোলটাই শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়।
ম্যান ইউনাইটেড ম্যাচে ফিরতে চেষ্টা কম চালায়নি। কিন্তু এভারটনের জমাট রক্ষণ ভাঙতে পারলেও গোলপোস্টের নিচে পিকফোর্ড বাধা পেরোতে পারেননি ফের্নান্দেস-এমবেউমোরা। ম্যাচে অন্তত ৬টি দুর্দান্ত সেভ করে এভারটনের জাল অক্ষত রাখেন পিকফোর্ড। তাতে ২০১৩ সালের পর প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে প্রথমবারের মতো জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে এভারটন।
মজার বিষয় হলো, এক যুগ আগে ইউনাইটেডকে তাদেরই ঘরের মাঠে হারানোর ম্যাচে রেড ডেভিলদের কোচ ছিলেন ডেভিড ময়েস, যিনি এখন এভারটনের ডাগআউট সামলাচ্ছেন। গতকালের হারের পর ১২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে ইউনাইটেড পয়েন্ট তালিকার ১০-এ আছে, আর সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে ১১-তে রয়েছে এভারটন।
ম্যান ইউনাইটেড কোচ আমোরিম তার হতাশা প্রকাশ করে বলেন, আমরা শীর্ষস্থানের জন্য লড়াই করার মতো অবস্থায় নেই। এমনকি শীর্ষস্থানের আশে-পাশে থাকার মতো অবস্থাতেও নেই। এই ক্লাবের যেখানে থাকার কথা, আমরা এখনো সেই মানের কাছাকাছি অবস্থানেও নেই। তিনি গত মৌসুমের দুঃস্মৃতি মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, গত মৌসুমে আমরা যে অবস্থার মধ্য দিয়ে গিয়েছিলাম, তেমন ভয়টাই পাচ্ছি। এটাই আমার সবেচেয়ে বড় চিন্তা।