Dark Mode Light Mode

Keep Up to Date with the Most Important News

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Follow Us
Follow Us
English English
‘মোদি দেখতে সুন্দর… খুনি’, বললেন ট্রাম্প
সঞ্চয়পত্রের সার্ভার হ্যাক করে গ্রাহকের ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলো জালিয়াত চক্র
নৌপথে পণ্য পরিবহন করেও ভাড়ার টাকা পাচ্ছে না মালিকরা

সঞ্চয়পত্রের সার্ভার হ্যাক করে গ্রাহকের ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলো জালিয়াত চক্র

সঞ্চয়পত্রের সার্ভার হ্যাক করে গ্রাহকের ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলো জালিয়াত চক্র সঞ্চয়পত্রের সার্ভার হ্যাক করে গ্রাহকের ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলো জালিয়াত চক্র
সঞ্চয়পত্রের সার্ভার হ্যাক করে গ্রাহকের ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলো জালিয়াত চক্র


জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের এনএসসি সিস্টেম জালিয়াতি করে অর্থ তুলে নিয়েছে একটি চক্র। জালিয়াতির মাধ্যমে অন্য গ্রাহকের নামে থাকা সঞ্চয়পত্র ভেঙে টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে রাজধানীর মতিঝিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করে মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি। তবে গত পরশু একটি জিডি করা হয়েছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। 

Advertisement

বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে এক গ্রাহক ২৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কেনেন। ওই গ্রাহকের ব্যাংক হিসাব অগ্রণী ব্যাংকের জাতীয় প্রেস ক্লাব শাখায়। কিন্তু মাত্র চারদিন পর, গত সোমবার ওই সঞ্চয়পত্র ভাঙানো হয় এবং টাকা স্থানান্তর করা হয় এনআরবিসি ব্যাংকের দিনাজপুর উপশাখার এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে। পরে সেই টাকা একই দিনে ব্যাংকটির শ্যামলী শাখা থেকে তুলে নেওয়া হয়।

একই পদ্ধতিতে একই দিনে আরও দুটি সঞ্চয়পত্র ভাঙানোর চেষ্টা করা হয়—যার একটি ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে ৩০ লাখ টাকার, অন্যটি এনআরবি ব্যাংকের মাধ্যমে ২০ লাখ টাকার। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরে আসায় ওই দুটি জালিয়াতি রোধ করা সম্ভব হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক তিনটি ঘটনায় সঞ্চয়পত্র ক্রেতাদের সঙ্গে বলে জেনেছে গ্রাহকেরা সঞ্চয়পত্র ভাঙানোর জন্য আবেদন করেননি। ফলে তাদের মোবাইল ফোনে কোনো ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ডও (ওটিপি) যায়নি। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের যে তিন কর্মকর্তার কাছে সঞ্চয়পত্র বিক্রির পাসওয়ার্ড ছিল, তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নতুন করে অন্য তিনজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেই এই জালিয়াতি করা হয়েছে। ফলে যাদের কাছে পাসওয়ার্ড ছিল, তারা নজরদারিতে আছেন। এ ছাড়া বাইরের আরও কারও সংশ্লিষ্টতা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৭১ কোটি টাকা। এসব সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ভাঙানো হয় বাংলাদেশ ব্যাংক, সরকারি-বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক, সঞ্চয় অধিদপ্তর ও পোস্ট অফিসের প্রায় ১২ হাজার শাখা থেকে। তবে এখন পর্যন্ত শুধু বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকেই এ ধরনের জালিয়াতির ঘটনা শনাক্ত হয়েছে। অন্য কোনো শাখা বা প্রতিষ্ঠানে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে কি না, তা এখনো জানা যায়নি। তবে সঞ্চয়পত্রের সার্ভার পরিচালনা করে অর্থ মন্ত্রণালয়। চিহ্নিত এ প্রতারণাগুলো সার্ভার হ্যাকের মাধ্যমে করা হয়েছে কি না, তা নিয়েও তদন্ত চলছে।

এনআরবিসি ব্যাংকের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তৌহিদুল আলম খান বলেন, এ ঘটনার পর আমরা ডিএমডির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি করে দিয়েছি। সেই কমিটি কাজ শুরু করেছে। এরপরই বিস্তারিত জানা যাবে।

প্রসঙ্গত, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো গ্রাহক সঞ্চয়পত্র কেনার সময় যে ব্যাংক হিসাবের তথ্য দেবেন, সেই হিসাবেই সঞ্চয়পত্রের মুনাফা ও আসল টাকা দেওয়া হয়। এ ছাড়া যে অফিস থেকে সঞ্চয়পত্র কেনা হয়, কোনো তথ্য পরিবর্তন, সুদ বা আসল নেওয়ার জন্য অবশ্যই সেই অফিসে আবেদন করতে হয়। আবেদন পাওয়ার পর গ্রাহকের দেওয়া মোবাইল নম্বরে একটি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) যায়। উপস্থিত গ্রাহক সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মীকে তৎক্ষণাৎ সেই ওটিপি দেখানোর পর তা ব্যবহার করে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে তথ্য পরিবর্তন করা হয়। তবে সব ক্ষেত্রে সার্ভারে ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট বা প্রমাণ থাকে। তবে দেড় বছর ধরে অনেক ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে ব্যর্থ হচ্ছেন গ্রাহকেরা। এসব ব্যাংকে প্রবাসী আয় বা সঞ্চয়পত্রের টাকা এলেও গ্রাহকেরা উত্তোলন করতে পারছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংক পরিবর্তনের আবেদন করছেন অনেকে। গ্রাহকের সমস্যা বিবেচনায় প্রতিষ্ঠানগুলোর দিক থেকে ব্যাংক পরিবর্তন করে দেওয়া হচ্ছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়েই কেউ জালিয়াতির ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।





Source link

Keep Up to Date with the Most Important News

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Add a comment Add a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous Post
‘মোদি দেখতে সুন্দর… খুনি’, বললেন ট্রাম্প

‘মোদি দেখতে সুন্দর… খুনি’, বললেন ট্রাম্প

Next Post
নৌপথে পণ্য পরিবহন করেও ভাড়ার টাকা পাচ্ছে না মালিকরা

নৌপথে পণ্য পরিবহন করেও ভাড়ার টাকা পাচ্ছে না মালিকরা

Advertisement