
শৈশব থেকেই ক্রিকেটে মগ্ন ছিলেন রেণুকা। গ্রামের ছেলেদের সঙ্গে কাপড়ের বল ও কাঠের ব্যাটে খেলতেন তিনি।
সেই দিনগুলোর কথা বলতে গিয়ে আবেগে ভাসেন তার মা সুনীতা ঠাকুর। জানান, রেণুকার প্রয়াত বাবা ক্রিকেটভক্ত ছিলেন। তিনি চাইতেন সন্তানদের কেউ একজন খেলাধুলায় ক্যারিয়ার গড়ুক, বিশেষ করে ক্রিকেট বা কাবাডিতে। সুনীতা বলেন, ‘আমার স্বামী আজ নেই, কিন্তু মেয়ে তার স্বপ্ন পূরণ করেছে।’
শারীরিক শিক্ষা শিক্ষক ভূপিন্দর ঠাকুরে। সম্পর্কে রেণুকার চাচা। রেণুকার প্রতিভা চিনে তিনি ভর্তি করান ধর্মশালা ক্রিকেট একাডেমিতে। সেখান থেকেই শুরু হয় তার স্বপ্নপূরণের যাত্রা।
ফাইনালের আগে মেয়েকে ফোনে সুনীতা বলেছিলেন, ‘দেশের জন্য খেলো, নিজের জন্য নয়। আজ বিশ্বকাপ জিতে আসো।’ মায়ের কথার মর্যাদা রেখে মাঠে অসাধারণ পারফরম্যান্সে ভারতকে জয় এনে দেন রেণুকা। রোববার (৩ নভেম্বর) ভারতের জয়ের প্রতিটি দক্ষিণ আফ্রিকান উইকেট পতনে উল্লাসে ফেটে পড়েছিল ঠাকুর পরিবার। সোমবার পুরো গ্রামকে নেমন্তন্ন করে ভোজের আয়োজনও করেছে তারা।
আজ ভারতের ঐতিহাসিক বিশ্বকাপ জয়ে রেণুকা শুধু পরিবারের নয়, গোটা দেশের গর্ব।