
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর পার্শ্ববর্তী গ্রামে শিক্ষার্থীদের ওপর সংঘবদ্ধ হামলার ঘটনা ঘটেছে। দফায় দফায় চলা এই সহিংসতায় আহত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী, দুইজন উপ-উপাচার্য, প্রক্টর ও নিরাপত্তা শাখার একাধিক সদস্য।
এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সকল শ্রেণী পেশার মানুষ। এ ঘটনায় রোববার (৩১ আগস্ট) নিজের ফেসবুকে নির্মাতা আশফাক নিপুন লেখেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রামদা, চাপাতিধারীদের হাত থেকে বাঁচান। তাদের নিরাপত্তায় সর্বশক্তি প্রয়োগ করেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সচিবালয়ে বসে প্রেস ব্রিফিং না করে নিজে যান ঘটনাস্থলে।’
নির্মাতার পোস্টে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। একজন স্থানীয়দের পক্ষ নিয়ে লিখেছেন, ‘তাদের ক্যাম্পাসে ফিরে আসতে বলেন। তারাই শোডাউন করতে যেয়ে ঝামেলা বাঁধিয়েছে।’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘একতরফা সাপোর্ট করবেন না। ছাত্র-ছাত্রীদের অনেক দোষ আছে। তারা নিয়মিত এলাকার জন-সাধারণকে নির্যাতন করে।’
ওই পোস্টে নিপুনের পক্ষ নিয়ে অনেকেই সহমত প্রকাশ করেছেন। এবারই প্রথম না এর আগেও দেশের সাম্প্রতিক ইস্যুতে নিজের মতামত প্রকাশ করতে দেখা গেছে এই নির্মাতাকে। গত জুলাই মাসে রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনে সোহাগ নামে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল।
সে সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট নিজের ফেসবুকে প্রকাশ করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন এ নির্মাতা।
প্রসঙ্গত, ‘মহানগর’, ‘মহানগর ২’র মতো কাজের জন্য আলোচনায় আসেন আশফাক নিপুণ। জুলাই গণঅভ্যুত্থানেও গণমানুষের মুখ হয়ে ওঠেন এই পরিচালক। ২০২১ সালের জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ মহানগর। এটি নির্মাণের পর থেকে নানা ধরনের গোয়েন্দা নজরদারির মধ্যেও পড়েছিলেন নির্মাতা আশফাক নিপুণ।
সম্প্রতি তিনি জানান, ওই সময় তাকে শুধু নজরদারিই নয়, জিজ্ঞাসাবাদ, পুলিশি হয়রানি- এমনকি বাসায় রেইডের মতো ঘটনা পর্যন্ত সহ্য করতে হয়েছে। ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের সময় তাকে থামাতে বিভিন্ন মহল থেকে প্রযোজকদের, এমনকি তার স্ত্রী এলিটা করিমকেও ফোন করা হয়েছিল। এসব ঘটনা নিয়েও তিনি সিরিজ কিংবা সিনেমা নির্মাণ করতে চলেছেন।