
ফুটবলে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) চালুর পর থেকেই এই প্রযুক্তিকে ঘিরে বিতর্ক থামছে না। কেউ এর পক্ষে, কেউ-বা বলছেন-ফুটবলের সৌন্দর্য নষ্ট করছে ভিএআর। তবে এবার প্রশ্ন উঠল-ভিএআরের কার্যকারিতা নিয়েই।
রোববার (৩১ আগস্ট) রাতে লা লিগায় নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে রায়ো ভায়েকানোর বিপক্ষে মাঠে নামে বার্সেলোনা। মাদ্রিদের ভায়েকাস স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচে নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে সমতায় শেষ হলেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল ভিএআর বিভ্রাট।
ম্যাচের ৩৯ মিনিটে ভায়েকানোর ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন বার্সার তরুণ ফরোয়ার্ড লামিনে ইয়ামাল। ভায়েকানোর ডিফেন্ডার পেপে চাভারিয়ার চ্যালেঞ্জে পড়ে যান তিনি। রেফারি পেনাল্টি দেন, যদিও সঙ্গেসঙ্গে স্বাগতিক খেলোয়াড়রা তাতে আপত্তি জানিয়েছিলেন। সিদ্ধান্ত যাচাইয়ের জন্য ভিএঅংরের শরণাপন্ন হতে চাইলেও সেটি কারিগরি ত্রুটির কারণে কাজ করছিল না।
ফলে ফিল্ড রেফারির সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইয়ামাল পেনাল্টি থেকে গোল করে বার্সাকে এগিয়ে নেন। তবে ৬৭ মিনিটে কর্নার কিক থেকে ফ্রান পেরেজের গোলে সমতায় ফেরে ভায়েকানো। শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হলে ভাগাভাগি করেই পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে দুই দল।
ম্যাচ শেষে ভিএআর বিভ্রাট নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়েন সমর্থকরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার মুখে পড়ে লা লিগা কর্তৃপক্ষও। তবে বার্সা কোচ হ্যান্সি ফ্লিক পরিষ্কারভাবে কিছু না বলে বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলেন। তিনি বলেন, ‘ভিএআর কাজ করা উচিত ছিল। আমি জানি না আসলে কী হয়েছিল, তবে কারোর জন্যই ভিএআর ছিল না।’
কাতালান অধিনায়ক ফ্রেস্কি ডি ইয়ং বলেন, ‘আমি জানি না ঘটনাটি পেনাল্টি ছিল কি না। তবে ভিএআর কাজ না করাটা খুবই দুঃখজনক। মাঝে মাঝে কাজ করছিল, আবার করছিল না। এটি সত্যিই অদ্ভুত।’ অন্যদিকে ভায়েকানোর খেলোয়াড় আইসি পালাজান তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বলেন, যখন এমন পেনাল্টি ডাকা হয় যা আদৌ পেনাল্টি নয়, তখন তা রাগান্বিত করে। রেফারি মানুষ, ভুল করতেই পারেন। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে ভুলগুলো সবসময় একই দলের পক্ষেই হয়।’
লা লিগায় এখন পর্যন্ত তিনটি ম্যাচ খেলেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। প্রথম দুই ম্যাচে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়লেও তৃতীয় ম্যাচ পয়েন্ট হারানো টেবিলের চার নম্বরে নেমে এসেছে। তিন ম্যাচে তিনটি জিতে নয় পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীষে আছে রিয়াল মাদ্রিদ।