
হোটেল লবিতে সব অ্যাথলেটস আছেন। অনুশীলনে আছেন অন্যান্য দেশের অ্যাথলেটস। কিন্তু এক জনের দেখা নেই। প্যারিস অলিম্পিক গেমসের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে স্বর্ণজয়ী নোয়া লাইলসের। হোটেলে নেই, জাপান জাতীয় স্টেডিয়ামেও নেই। তার দেশের অ্যাথলেটরা অনুশীলন করছেন। কিন্তু লাইলস নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাথলেটরা এসেছেন ১৫০ জনের মতো। দলের সঙ্গে নতুন উঠতি অ্যাথলেটকেও আনা হয়েছে। সবাই আছেন, নেই শুধু লাইলস। কারো কাছে জানতে চাইলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে না। গতকাল জাপান জাতীয় স্টেডিয়ামে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাথলেটরা যখন অনুশীলন করছিলেন, তখনও তারা বলতে পারলেন না লাইলস কোথায়।
গুঞ্জন আছে সংবাদমাধ্যম থেকে দূরে সরিয়ে রাখতেই নাকি লাইলসের চলাফেরা লোকচক্ষুর আড়ালে। লাইলস আড়ালে থাকলেও তাকে যিনি প্যারিস অলিম্পিক গেমসে ২০০ মিটার স্প্রিন্টে হারিয়ে ছিলেন, বতসোয়ানোর সেই লেসিল তেবেগো সবার সামনে দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। দলের সঙ্গে সর্বক্ষণ দেখা যায় তাকে। ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিকসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় জাপানি শিশুদের কাছে।
আগামী দিনের প্রজন্ম এ ধরনের অ্যাথলেটদের দেখে যেন প্রেরণা পায়। নানা সামাজিক অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন তেবেগো। প্যারিসে স্বর্ণ জয় করার পর মিক্সড জোনে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল লেটসাইল তেবেগোর সঙ্গে কারা (সাংবাদিক) কথা বলাবেন। ইউরোপীয়ান, আমেরিকান সাংবাদিকরা নীরব ছিলেন। ঘোষণাকারী পুনরায় একই কথা বললেন। কিন্তু কেউ সাড়া দিলেন না। বাংলাদেশ থেকে একমাত্র ইত্তেফাক প্রতিনিধি হাত উঁচু করলে বতসোয়ানোর চার জন সাংবাদিকের সঙ্গে লেসিল তোবেগোর সাক্ষাৎকার নেওয়ার সুযোগ হয়।
সেই পুরোনো কথা তুলতে লেসিল তোবেগো পরশু কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেন। দুই মিনিট সময় দিলেন, জানালেন এবারও এসেছি স্বর্ণ জয় করতে। জানতে চাইলেন কার খেলা ভালো লাগে? লাইলস না আমি। খুশি করতে বললাম, আপনাকে। প্রশ্ন করা হয়েছিল লাইলসকে হারিয়ে দেশে ফেরার পর কেমন লেগেছিল। তোবেগো জবাব দিলেন, আমি ভাবিনি এত বড় কাজ করে ফেলেছি। ওটা ছিল আমার দেশের প্রথম অলিম্পিক স্বর্ণ। পুরো দেশের জনগণ আমাকে ভালোবাসা দিয়েছে। দেশে ফিরে দেখি মানুষের আগ্রহ আরও বেড়ে গিয়েছে। নতুন করে সবাই আমাকে দেখতে আসছিলেন। এবার আমাকে ছাড়ুন সবাই লিফটে উঠে গেছে। আমি যাই।