
ভারতীয় ক্রিকেট দলের ব্যাটিং গ্রেট বিরাট কোহলি খেলার ব্যস্ততা না থাকলে স্ত্রী আনুশকা শর্মা ও সন্তানদের নিয়ে বেশির ভাগ সময় ইংল্যান্ডেই কাটান। তবে দেশের বাইরে লম্বা ছুটির সময়ও তিনি মাঠের বাইরে থাকেন না। নিজেকে প্রস্তুত রাখতে এই ব্যাটিং গ্রেট নিয়মিত ঘাম ঝরান বলে জানিয়েছেন তার সাবেক সতীর্থ দিনেশ কার্তিক।
কার্তিকের জানান, কোহলির এই নিয়মিত অনুশীলনই প্রমাণ করে ২০২৭ সালের বিশ্বকাপকে তিনি কতটা গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। ক্যারিয়ার শেষে কোহলি যে ইংল্যান্ডে থিতু হতে চান, তা এখন পরিষ্কার। সন্তান জন্মের আগে থেকেই ইংল্যান্ডের নিরিবিলি সময়টুকু এই তারকা দম্পতির দারুণ পছন্দ হয়েছিল এবং এরপরই তারা তারকা খ্যাতির ঝলকানি থেকে সরে নির্ঝঞ্ঝাট জীবন বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
গত বছর টি-টোয়েন্টি এবং এই বছর টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের পর কোহলির ক্রিকেটীয় ব্যস্ততা অনেক কমে গেছে। গত জুনের শুরুতে আইপিএল শেষ হওয়ার পর থেকে তিনি কোনো ধরনের ক্রিকেটে আর অংশ নেননি। আইপিএল শেষ হওয়ার পর থেকেই দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি এবং আনুশকা ইংল্যান্ডে ছিলেন।
চার মাসের বেশি সময় পর কোহলি সম্প্রতি দেশে ফেরেন এবং অস্ট্রেলিয়ায় ওয়ানডে সিরিজে খেলতে দিল্লি থেকেই দলের সঙ্গে রওনা হন। অস্ট্রেলিয়া সফরে তার সঙ্গী একটি বড় প্রশ্ন, ৩৮ বছর বয়সেও তিনি ২০২৭ বিশ্বকাপে ভারত দলের অভিযানে থাকতে পারবেন কি না? স্রেফ একটি সংস্করণ খেলে মান ধরে রাখা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
ধারাভাষ্যকার, বিশ্লেষক ও সাবেক কিপার-ব্যাটার দিনেশ কার্তিক সামাজিক মাধ্যমে এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। কার্তিক বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর যে লম্বা বিরতি সে পেয়েছে, এই সময়টাতেও সে লন্ডনে নিয়মিত অনুশীলন চালিয়ে গেছে। আমি জানি, সে খুব সহজেই ক্রিকেট চর্চা চালিয়ে গেছে। সপ্তাহে দু-তিনটি সেশন করেছে। এটিই বলে দিচ্ছে, সে আগামী বিশ্বকাপকে কতটা গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।’
কার্তিক কোহলির মতো পরীক্ষিত একজন খেলোয়াড়কে নিয়ে কোনো সংশয়ের কারণ দেখেন না। তার মতে, ‘সে যদি ক্রিকেট চালিয়ে যায়, আমার মতে তার টেনশনের কোনো ব্যাপারই নেই। কারণ সে জানে, চাপের মধ্যে পারফর্ম কীভাবে করতে হয়। নানা সময়ে বছরের পর বছর সে এটা করেছে এবং আমি আত্মবিশ্বাসী, সামনেও সে করবে।’
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে শিরোপা জয়ের পর কোহলিকে প্রথমবার ভারতের জার্সিতে আগামী রোববার পার্থে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে দেখা যাবে।