
ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি তার দুই সন্তান শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য ও সাফিরা সুলতানা প্রিয়মের সঙ্গে সময় কাটিয়ে জীবনের আনন্দ খুঁজছেন। সম্পর্কের টানাপোড়েনে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে অভিনেতা শরিফুল রাজের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ এবং একই বছর ২৩ নভেম্বর একমাত্র অভিভাবক নানা শামসুল হক গাজীর মৃত্যুর পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন।
কিন্তু পরীমণি সন্তানদের হাসিমুখের দিকে তাকিয়ে নিজেকে শক্ত করে নেন। আড়ালে চোখের পানি মুছে তিনি চেষ্টা করছেন সবসময় খুশি থাকার, ছুটে বেড়াচ্ছেন এবং ব্যস্ত রয়েছেন বিভিন্ন কাজের মধ্যে। বর্তমান সময়ে কাজের পাশাপাশি ছেলে রাজ্য ও দত্তক মেয়েকে নিয়েই সময় কাটছে। তার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টগুলি এই ব্যস্ততা ও আনন্দের প্রমাণ সরবরাহ করে।
বিভিন্ন সময় বাচ্চাদের সঙ্গে কাটানো খুনসুটির নানান মুহূর্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন নায়িকা। এবার ছেলে রাজ্য ও দত্তক মেয়েকে নিয়ে পরীমণি একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করেছেন।
সম্প্রতি ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘রঙিলা কিতাব’-এ অসাধারণ অভিনয়ের জন্য জনপ্রিয় ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ডস জিতেছেন পরীমণি। সেই অ্যাওয়ার্ডস নিয়ে বাসায় ফিরে আবেগে ভাসলেন নায়িকা।
ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে পরীমণি লিখেছেন, ‘এখন আমার ঘরের দরজা খুলে দেওয়ার মানুষ তারা। নানাভাই মারা যাওয়ার পর আর কেউ আমার ঘরে ফেরার জন্য অপেক্ষা করেনি এভাবে।’
তার কথায়, ‘গতকাল রাতে যখন আমি অ্যাওয়ার্ড নিয়ে বাসায় ফিরলাম তখন দরজা খুলেই তারা দুজন এক ঝাঁপে আমার কোলে উঠে বসলো। কি লাগে জীবনে আর! শুকরিয়া খোদা।’
দোয়া করি যেন এই সুখে কারো নজর না লাগে উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘আমি শুধু আল্লাহর কাছে এখন এই দোয়া করি যেন এই সুখে কারো নজর না লাগে। আহা! কি সুন্দর পরিপূর্ণ জীবন আমার। রূপকথার মতো সুন্দর। আলহামদুলিল্লাহ।’
পরীমণির এই আবেগঘন পোস্টে ভক্তরা শুভকামনায় জানিয়েছেন মন্তব্যের ঘরে।
প্রসঙ্গত, পরীমণির পরবর্তী সিনেমার নাম ‘গোলাপ’। সম্প্রতি সিনেমাটির শুটিং শুরু করার কথা রয়েছে তার। এ সিনেমায় পরীমণির বিপরীতে রয়েছেন নিরব। এই দুই তারকার প্রথম সিনেমা এটি, যার পরিচালক সামছুল হুদা।
এর আগে পরীমণি ‘ডোডোর গল্প’ নামে একটি ছবির শুটিং শেষ করেছেন। বছর দুয়েক আগে শুরু হয় ছবিটির শুটিং। এই ছবিতে পরীমণির বিপরীতে অভিনয় করেছেন সাইমন সাদিক।