
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তার দেশ কেবল রাশিয়ার সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে দূরপাল্লার টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করবে। ক্রেমলিন সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য অস্ত্র সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করার পর তিনি এই মন্তব্য করেন।
রোববার (১২ অক্টোবর) ফক্স নিউজে প্রচারিত সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, ওয়াশিংটনের দেওয়া অস্ত্রের ব্যবহার হবে ‘সম্পূর্ণ প্রতিরক্ষামূলক উদ্দেশ্যে’। ওই দিনই তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং আলোচনাকে ‘খুবই ফলপ্রসূ’ বলে উল্লেখ করেন।
ট্রাম্প পরে সাংবাদিকদের জানান, তিনি কিয়েভকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার বিষয়ে ‘একটি সিদ্ধান্তের কাছাকাছি’ আছেন, তবে এগুলোর ব্যবহারের পরিকল্পনা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা জানতে চান।
টমাহকের পাল্লা প্রায় ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার হওয়ায়, ইউক্রেন চাইলে রাশিয়ার গভীরে আঘাত হানতে পারবে। এই সম্ভাবনায় চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ক্রেমলিন। দেশটির মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘পরিস্থিতি এখন নাটকীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে, কারণ উত্তেজনা চারদিকে বাড়ছে।’
পেসকভ আরও বলেন, ‘ক্ষেপণাস্ত্রের কিছু সংস্করণ পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন করতে পারে—এ বিষয়টিও রাশিয়া উপেক্ষা করতে পারে না।’
এদিকে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে কথা বলে জেলেনস্কি ইউক্রেনের জন্য আরও ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান প্রতিরক্ষা সহায়তা চেয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘রাশিয়া এখন বোমাবর্ষণ জোরদার করছে, কারণ বিশ্বের মনোযোগ অন্য দিকে।’
জেলেনস্কির তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে রাশিয়া ইউক্রেনে ৩ হাজার ১০০টিরও বেশি ড্রোন, ৯২টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১ হাজার ৩৬০টি গ্লাইড বোমা নিক্ষেপ করেছে। এসব হামলায় জ্বালানি অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে।
সূত্র/আলজাজিরা