
প্রায় ১০ মাস আগে আজারবাইজানে যাত্রীবাহী বিমান দুর্ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) তিনি জানান, রুশ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রেই আজারবাইজানের ওই বিমানটি ভেঙে পড়ে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবেতে সাবেক সোভিয়েত দেশগুলোর সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে বৈঠকে পুতিন এই মন্তব্য করেন।
গত বছর ২৫ ডিসেম্বর আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমান বাকু থেকে চেচনিয়ার রাজধানী গ্রোজনির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। মাঝ আকাশে রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিমানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে পশ্চিম কাজাখস্তানে জরুরি অবতরণের চেষ্টা করলেও সেটি ব্যর্থ হয়। দুর্ঘটনায় ৬৭ জন যাত্রীর মধ্যে ৩৮ জন নিহত হন, বেঁচে যান ২৯ জন।
দুর্ঘটনার পর পুতিন ঘটনাটিকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন এবং আলিয়েভের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন, তবে সে সময় দায় স্বীকার করেননি।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তখন জানিয়েছিল, ইউক্রেনের ড্রোন হামলা ঠেকাতে বিমানবিধ্বংসী ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছিল। সেই সময় আজারবাইজানের বিমানটি একাধিকবার অবতরণের চেষ্টা করে। তবে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিমানটির ক্ষতি হয়েছে, তা স্বীকার করা হয়নি।
আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ দুর্ঘটনার পর বলেছিলেন, বিমানের গায়ে প্রচুর ছিদ্র পাওয়া গেছে এবং যাত্রীরা মাঝ আকাশেই ‘বহিরাগত কিছুর আঘাতে’ আহত হন।
বৃহস্পতিবারের বৈঠকে পুতিন বলেন, “ইউক্রেনের ড্রোন লক্ষ্য করে আমাদের বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে আজারবাইজানের বিমানের দিকে নিক্ষিপ্ত হয়। দুটি ক্ষেপণাস্ত্র বিমানটির মাত্র ১০ মিটার দূরে বিস্ফোরিত হয়েছিল।”
তিনি আরও জানান, “রাশিয়া ক্ষতিপূরণ দেবে এবং দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও নিহতদের আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়, তবে এটি তাঁদের পরিবারের প্রতি নৈতিক সহায়তা।”
ইলহাম আলিয়েভ এ সময় বলেন, “আপনি ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি তদারক করছেন—এটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”