
রাশিয়া ও বেলারুশের সৈন্যদের অংশগ্রহণে ‘জাপাদ ২০২৫’ যৌথ কৌশলগত মহড়া শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলারুশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে।
বেলটিএ সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুসারে, এই মহড়ায় পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম ওরেশনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ব্যবহারের পরিকল্পনা অনুশীলন করা হবে।
প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর কাছে উপস্থাপন করা প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভিক্টর খ্রেনিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘১২ সেপ্টেম্বর বেলারুশ প্রজাতন্ত্র এবং রাশিয়ান ফেডারেশনের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে জাপাদ ২০২৫ যৌথ কৌশলগত মহড়াটি শুরু হয়। এটি দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে চলতি বছরের যৌথ প্রশিক্ষণের চূড়ান্ত ধাপ।’
রাশিয়ার শীর্ষ কর্মকর্তাদের মতে, সৈন্যরা ‘বেলারুশ ও রাশিয়ান ফায়ারিং রেঞ্জে এবং বাল্টিক সাগর ও বেরেন্টস সাগরে’ অনুশীলন করবে।
এর আগে প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো বলেছিলেন, ‘কেউই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে চায় না।’ তবে তিনি সতর্ক করেন, দেশের ওপর যে কোনো আক্রমণের জবাবে ‘হাতে থাকা সমস্ত অস্ত্র’ ব্যবহার করা হবে।
তিনি বলেন, রাশিয়া চলতি বছর শেষের আগেই বেলারুশে যেসব ওরেশনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সেগুলো পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম। বেলারুশের মাটিতে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের ফলে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের ধরন বদলে গেছে।
২০২৩ সালের ২৫ মার্চ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মিনস্কের অনুরোধে বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে তাদের মিত্রদের ভূখণ্ডে যা করে আসছে, পুতিনের পদক্ষেপ ছিল তার অনুরূপ।
এরপর ২০২৪ সালের ২৫ এপ্রিল লুকাশেঙ্কো নিশ্চিত করেন, বেলারুশে কয়েক ডজন পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কৌশলগত মহড়া ‘জাপাদ ২০২৫’ আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। অন্যান্য মহড়ার মধ্যে বেলারুশিয়ান এবং রাশিয়ান সেনারা বিমান হামলা প্রতিহত করার ও নাশকতাকারী শত্রু গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অনুশীলন করার পরিকল্পনা করছে।