
রাশিয়া অভিযোগ করেছে যে ইউক্রেন ও যুক্তরাজ্যের যৌথ ষড়যন্ত্রে রুশ সামরিক বাহিনীর হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী এক যুদ্ধবিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালানো হয়েছিল। তবে রুশ গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি দাবি করেছে, এই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে।
রুশ গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং তাদের “ব্রিটিশ তত্ত্বাবধায়করা” যৌথভাবে রাশিয়ার অতিদ্রুতগতির কিনঝাল (Kinzhal) ক্ষেপণাস্ত্রবাহী মিগ–৩১ যুদ্ধবিমান ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেছিল।
রুশ পাইলটদের তিন মিলিয়ন ডলার ও একটি পশ্চিমা দেশের নাগরিকত্বের লোভ দেখানো হয়, যাতে তারা বিমানটি কৃষ্ণসাগরের তীরে অবস্থিত ন্যাটো ঘাঁটি রোমানিয়ার কনস্টান্টায় নিয়ে যান। পরিকল্পনা অনুযায়ী সেখানে বিমানটিকে “ভূপাতিত” করার কথা ছিল, দাবি করেছে এফএসবি।
রাশিয়ার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি বলেছে, ‘ইউক্রেন ও ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর বৃহৎ উসকানিমূলক পরিকল্পনা ভণ্ডুল করা হয়েছে।’
রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, মুখ ঢাকা এক রুশ সৈনিক বলছেন—তিনি ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক এজেন্টের কাছ থেকে ই-মেইল পেয়েছিলেন, যেখানে তাকে ষড়যন্ত্রে যোগ দিতে প্রলুব্ধ করা হয়।
এই ঘটনার পর প্রতিশোধ হিসেবে রুশ সেনারা কিয়েভ ও খমেলনিতস্কি অঞ্চলে ইউক্রেনীয় সেনাদের গোয়েন্দা কার্যালয় ও একটি বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায় বলে জানিয়েছে এফএসবি।
২০২২ সালে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করার পর থেকে রাশিয়া নিয়মিত অভিযোগ করে আসছে যে, কিয়েভ ও তার পশ্চিমা মিত্ররা রুশ ভূখণ্ডে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। তবে এই অভিযোগের বিষয়ে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেনি মস্কো।
২০২৩ সালের আগস্টে রুশ সেনাবাহিনীর একটি মি–৮ হেলিকপ্টার ইউক্রেনে প্রবেশ করে আত্মসমর্পণ করেছিল। সেই অভিযানে অংশ নেওয়া পাইলট ম্যাক্সিম কুজনিমভ পরে স্পেনে নিহত অবস্থায় পাওয়া যান।