
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ান আমেরিকা টিভি চ্যানেলের অনুসন্ধানী সাংবাদিক পিয়ারসন শার্প রাশিয়ার একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ভ্রমণ করেছেন। সেখানে তিনি রুশ সশস্ত্র বাহিনীর হয়ে যুদ্ধরত মার্কিন নাগরিকদের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন।
রাশিয়ান লেখক জাখার প্রিলেপিনের আয়োজিত একটি প্রেস ট্যুরের অংশ হিসেবে শার্প রাশিয়ায় ভ্রমণে যান। সেখানে বাংলাদেশ, স্লোভাকিয়া এবং চেক প্রজাতন্ত্রের গণমাধ্যমকর্মী এবং প্রাক্তন রাজনীতিবিদরাও অংশগ্রহণ করেন।
বার্তা সংস্থা তাসের প্রতিবেদন অনুসারে, সাংবাদিক পিয়ারসন শার্প নিজ দেশের নাগরিকদের সঙ্গে এক সাক্ষাতের সময় জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘বিশেষ সামরিক অভিযানে’ রাশিয়ার পক্ষে যোগদানের জন্য তারা কীভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।
জবাবে ওয়াশিংটন রাজ্যের একজন যোদ্ধা বলেছেন, ‘ন্যাটো অতীতে যেসব রাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের মতের মিল ছিল না, সেগুলোকে ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেছে – লিবিয়া, ইরাক, যুগোস্লাভিয়া। আপনি ইতিহাসকে একটি নির্দিষ্ট দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে পারেন এবং বুঝতে পারেন তারা কী চায়, তারা কোন পক্ষে, তারা কীসের জন্য দাঁড়ায় – তেমনই রাশিয়া কীসের জন্য দাঁড়ায়, তারা কী চায়।’
তিনি বলেন, ‘রাশিয়া তাদের জাতিগতভাবে রুশ মানুষদের রক্ষা করতে চায়। ইউক্রেনে তারা (রাশিয়ানরা) রুশ ভাষায় কথা বলে এবং তারা নিজেদের অত্যাচারিত বোধ করে, তাদের হত্যা করা হচ্ছে। রাশিয়ার মিশন হলো তাদের ভূমিতে থাকা রুশ মানুষদের মুক্ত করা।’
ইউক্রেনীয় নেতৃত্ব সম্পর্কে মতামত সম্পর্কে শার্পের প্রশ্নের উত্তরে মার্কিন যোদ্ধা উল্লেখ করেন, তিনি ইউক্রেনকে একটি গণতান্ত্রিক দেশ বলে মনে করেন না, কারণ ভ্লাদিমির জেলেনস্কিকে নির্বাচিত করাটা ছিল ‘একটি রসিকতা’।
সাংবাদিক যোদ্ধাকে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি আমেরিকানদের কাছে কী জানাতে চান। জবাবে তিনি মার্কিন নাগরিকদের ‘সংঘাতকে বস্তুনিষ্ঠভাবে মূল্যায়ন করার’ এবং এর ‘উৎপত্তি অধ্যয়ন করার’ আহ্বান জানান।
তিনি ব্যাখ্যা করেন, ‘কেবলমাত্র একটি পক্ষ বেছে নিতে হবে বলে, আপনি একটি পক্ষকে বেছে নিতে পারেন না। ইতিহাসের অনেক প্রেক্ষাপট রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, ন্যাটো ইতিহাসের ভুল দিকে আছে। রাশিয়া সঠিক দিকে আছে।’
এর আগে মার্কিন সাংবাদিক শার্প বলেছিলেন, ডনবাস ভ্রমণের পর থেকে তিনি হুমকি পেতে শুরু করেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, ডনবাসে থাকাকালীন তিনি এমন কোনো ব্যক্তির দেখা পাননি, যিনি নিজেকে ইউক্রেনীয় বলে পরিচয় দেন।