
ইউক্রেনে রাতভর আবারও ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে কিয়েভের বড় অংশ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিশকো জানান, একাধিক জ্বালানি স্থাপনা ও আবাসিক ভবনে হামলার খবর পাওয়া গেছে। হামলায় নয়জন আহত হয়েছেন। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় রাজধানীর পূর্বাংশের বাসিন্দারা অন্ধকারে ডুবে গেছেন। একই সঙ্গে পানি সরবরাহেও বিঘ্ন ঘটেছে।
মেয়র ক্লিশকো জানান, আহত নয়জনের মধ্যে পাঁচজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ইউক্রেনের জরুরি সেবা বিভাগ দশতলা একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ড নেভানোর ছবি প্রকাশ করেছে।
এদিকে, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় জাপোরিজ্জিয়ায় রুশ ড্রোন হামলায় সাত বছরের এক শিশু নিহত হয়েছে বলে ওই অঞ্চলের প্রশাসনিক প্রধান জানিয়েছেন।
জাপোরিজ্জিয়ার আঞ্চলিক প্রধান ইভান ফেদোরভ বলেন, শহরটি রাতভর তীব্র হামলার মুখে পড়ে। এতে এক শিশুর নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন। ওই অঞ্চলটি রাশিয়ার আংশিক নিয়ন্ত্রণাধীন এবং সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ধারাবাহিক বিমান হামলার শিকার হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউক্রেনের জ্বালানি স্থাপনার ওপর হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ পরিস্থিতিতে মিত্রদের প্রতি ‘বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ’ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এখন আর প্রদর্শনমূলক সমর্থন নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং জি সেভেন দেশগুলোর সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ প্রয়োজন। এজন্য চাই বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ এবং নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন।
তিনি জানান, ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোর দিকে প্রায় ৪৫০টি ড্রোন ও ৩০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে—যা ‘শীতকালে সাধারণ মানুষের জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছুর বিরুদ্ধে এক নিষ্ঠুর ও পরিকল্পিত হামলা।
ইউক্রেনের জ্বালানি মন্ত্রী স্বিতলানা হ্রিনচুক বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধারে জরুরি পরিষেবা কর্মীরা কাজ করছেন।
পুরো ইউক্রেনজুড়ে কিঞ্জাল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সতর্কতা জারি রয়েছে, যেগুলো শনাক্ত করা অত্যন্ত কঠিন। জেলেনস্কি বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো ধ্বংস করার চেষ্টা করছে এবং এরই মধ্যে গ্যাস স্থাপনাগুলোতে হামলা হয়েছে। তিনি জানান, জ্বালানি খাতের কর্মী ও কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্য আরও হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি