
গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যস্থতায় হওয়া ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি জোরদার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইসরায়েলে পৌঁছেছেন মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। যুদ্ধের স্থায়ী অবসানের লক্ষ্যে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনা করতেই তার এই সফর।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) তিনি ইসরায়েলের মাটিতে পা রাখেন। এরপরই ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভ্যান্স এবং তার স্ত্রীর বিমান থেকে নামার একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছে, ‘ইসরায়েলে স্বাগত, ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্স।’
এর আগে, সোমবার যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছাতে সহায়তা করা যুক্তরাষ্ট্রের দুই বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও জ্যারেড কুশনার নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেন। রোববার গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলার পর মার্কিন ওই দুই বিশেষ দূত ইসরায়েল সফরে যান। রোববারের হামলায় ১২ দিন ধরে কার্যকর ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর অব্যাহত রাখা এবং ২০ দফা গাজা শান্তি পরিকল্পনার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ধাপ নিয়ে আলোচনা শুরু করার জন্য মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বিশেষ দুই দূতকে ইসরায়েলে পাঠিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ইসরায়েল বলেছে, হামাসের এক হামলায় তাদের দুই সৈন্য নিহত হয়েছেন। এর জবাবে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী যুদ্ধবিমান থেকে হামলা চালায়।
সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেছেন, যুদ্ধবিরতি এখনও কার্যকর আছে। তবে তিনি হামাসকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, চুক্তি ভঙ্গ করলে তাদের ‘একেবারে নির্মূল’ করা হবে।
সোমবার ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে দেওয়া ভাষণে নেতানিয়াহু বলেছেন, ভ্যান্সের সঙ্গে তিনি নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ ও রাজনৈতিক সুযোগ নিয়ে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, রোববার হামাসের পরিষ্কার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জবাবে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় ১৫৩ টন বোমা নিক্ষেপ করেছে।
তিনি বলেন, আমাদের এক হাতে অস্ত্র, অন্য হাত শান্তির জন্য প্রসারিত। আপনি দুর্বলদের সঙ্গে নয়, শক্তিশালীদের সঙ্গে শান্তি স্থাপন করুন। ইসরায়েল আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী।