
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ঘোষণা করেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ হলে ইউক্রেনের ২৬টি মিত্র দেশ নিজেদের ‘নিশ্চয়তা বাহিনী’ পাঠাবে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) প্যারিসে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর ম্যাক্রোঁ এ তথ্য জানান।
ম্যাক্রোঁ বলেন, ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়া ৩৫টি দেশের জোট ‘কোয়ালিশন অব দ্য উইলিং’-এর বৈঠকে অংশ নেওয়া দেশগুলোর মধ্যে ২৬টি দেশ সম্মত হয়েছে যে যুদ্ধবিরতি বা শান্তি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তারা ইউক্রেনের স্থল, সমুদ্র বা আকাশপথে সেনা মোতায়েন রাখবে। এর মাধ্যমে ইউক্রেনে দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
বৈঠকের আগে ম্যাক্রোঁ ও অন্যান্য ইউরোপীয় নেতারা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি আলোচনার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে ইউক্রেনের দীর্ঘমেয়াদি সামরিক সহায়তা এবং যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা করে। পরে জেলেনস্কি উইটকফের সঙ্গে আলাদাভাবে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ম্যাক্রোঁ জানান, প্রস্তাবিত নিশ্চয়তা বাহিনী কোনোভাবেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে না, বরং এর লক্ষ্য হবে ভবিষ্যতের বড় ধরনের আগ্রাসন প্রতিহত করা এবং ইউক্রেনের নিরাপত্তায় ২৬ দেশের প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করা।
এ বিষয়ে জেলেনস্কি বলেন, ‘কোন ফরম্যাটে যুক্তরাষ্ট্র যুক্ত হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়।’ অন্যদিকে ম্যাক্রোঁ জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, যারা জোটটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তারা এর আগে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছিলেন যে ইউক্রেনে যেকোনো নিশ্চয়তা বাহিনীর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণ অপরিহার্য।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বুধবার বলেন, ‘যদি সাধারণ বুদ্ধি কাজ করে, তবে সংঘাত অবসানের জন্য একটি গ্রহণযোগ্য সমঝোতা সম্ভব।’ তিনি আরও দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পেরও আন্তরিকভাবে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর ইচ্ছা রয়েছে।
সূত্র: এপি