
সিঙ্গাপুরের প্রতিরক্ষামন্ত্রী চান চুন সিং বলেছেন, সাবমেরিন হুমকি মোকাবেলা এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তা সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে চারটি ‘বোয়িং পি-৮এ’ সামুদ্রিক টহল বিমান কেনা হবে।
চলতি সপ্তাহে সিঙ্গাপুরের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়াশিংটনে মার্কিন যুদ্ধমন্ত্রী পিট হেগসেথের সঙ্গে পেন্টাগনে দেখা করেন। ১৯৯৩ সাল থেকে পরিষেবায় থাকা বিদ্যমান ‘ফকার ৫০’-এর পরিবর্তে নতুন বিমান কেনার সিদ্ধান্তের কথা নিয়ে আলোচনা করেন।
‘P-8A’ সামুদ্রিক বিমানটি সামুদ্রিক টহলের জন্য তৈরি। এটির সাবমেরিন-বিরোধী যুদ্ধ ক্ষমতা রয়েছে। এটি ‘বোয়িং 737-800’ বাণিজ্যিক বিমানের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে এবং দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত ও অস্ট্রেলিয়াসহ নয়টি দেশে পরিচালিত হয়।
সিঙ্গাপুরকে ‘এই অঞ্চলে মার্কিন বন্ধুত্ব এবং উপস্থিতির নোঙ্গর’ হিসেবে অভিহিত করে হেগসেথ বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রতিরোধ বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সিঙ্গাপুরের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে নেওয়া ২০টি ‘F-35’ যুদ্ধবিমানের একটি আপডেটও দিয়েছে। চান চুন সিং বলেছেন, উৎপাদন ইতমধযে শুরু হয়েছে এবং ২০২৬ সালের শেষ নাগাদ বিমানগুলো সরবরাহের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সিঙ্গাপুর ঘোষণা করেছিল, তারা অতিরিক্ত ৮টি ‘F-35A’ যুদ্ধবিমান অর্ডার করার পরিকল্পনা করছে। এর ফলে দেশের বহরে এই মডেলের বিমান সংখ্যা ২০টিতে দাঁড়িয়েছে। এর আগে তারা ১২টি ‘F-35B’ এবং ৮টি প্রচলিত সংস্করণ ‘F-35A’ অর্ডার করেছিল।
যুক্তরাষ্ট্র এবং সিঙ্গাপুরের মধ্যে ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা সম্পর্ক রয়েছে। এর ফলে সৈন্যরা একে অপরের অঞ্চলে প্রশিক্ষণ নিতে পারে। মার্কিন যুদ্ধ বিভাগের মতে, উভয় পক্ষই এই সপ্তাহে আইডাহোর মাউন্টেন হোম এয়ার ফোর্স বেসে ফোরজিং সাবের অনুশীলনে যোগ দেবে।
ওয়াসিংটনে দুই মন্ত্রীর বৈঠকে চান চুন সিং ১৯৯০ সালের চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আমেরিকান সম্পৃক্ততার জন্য সিঙ্গাপুরের সমর্থনও পুনর্ব্যক্ত করেন। ২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং সিঙ্গাপুরের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং এই চুক্তি নবায়ন করেন।
চুক্তিটি মার্কিন বাহিনীর জন্য সিঙ্গাপুরের বিমান ও নৌ ঘাঁটিতে প্রবেশাধিকার সহজতর করে এবং তাদের পরিবহন কর্মী, বিমান ও জাহাজের জন্য লজিস্টিক সহায়তা প্রদান করে।