
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিষয়ক বিশেষ দূত কিরিল দিমিত্রিয়েভ ধারণা করছেন, ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের জন্য তার দেশ, যুক্তরাষ্ট্র এবং কিয়েভ একটি কূটনৈতিক সমাধানের খুব কাছাকাছি রয়েছে।
মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর পর শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
দিমিত্রিয়েভ বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন একটি কূটনৈতিক সমাধানের খুব কাছাকাছি বলেই আমি বিশ্বাস করি।’ যদিও অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের প্রস্তাবে পর্যাপ্ত অগ্রগতি না হওয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি হাঙ্গেরিতে পুতিনের সঙ্গে পরিকল্পিত বৈঠকটি ‘স্থগিত’ করেন, তবুও দিমিত্রিয়েভ মনে করেন দুই নেতা হয়তো পরবর্তী কোনো এক তারিখ ধরে বসবেন।
দিমিত্রিয়েভ বলেন, ‘তাই আমার মনে হয়, আমরা একটি কূটনৈতিক সমাধানের খুব কাছাকাছি যা নিয়ে অগ্রসর হওয়া যায়।’ এর কয়েক দিন আগেই ইউরোপীয় কূটনীতিকরা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন, বর্তমান যুদ্ধরেখা ধরে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে নতুন এক প্রস্তাব নিয়ে ইউরোপের দেশগুলো ইউক্রেনের সঙ্গে কাজ করছে।
এদিকে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে তার ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে এবং সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মস্কো ধীরে হলেও একের পর এক ইউক্রেনের এলাকা দখল করে নিচ্ছে।
দিমিত্রিয়েভের যুক্তরাষ্ট্র সফরের মধ্যে ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়ার দুই সর্ববৃহৎ তেল কোম্পানির ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যা পুতিনকে চাপে রাখার কৌশল বলে দাবি করা হয়েছে। তবে ক্রেমলিনের এই দূত মনে করেন, নিষেধাজ্ঞা রাশিয়াকে চাপে ফেলবে না, বরং তা ‘আমেরিকার গ্যাস স্টেশনগুলোতে জ্বালানির দামই কেবল বাড়াবে’ এবং নিষেধাজ্ঞা ‘ব্যাকফায়ার’ করবে।
তিনি আরও মন্তব্য করেন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সংলাপ চালু থাকা উচিত, যা তখনই সম্ভব হবে যখন ‘রাশিয়ার স্বার্থকে বিবেচনায় নেওয়া হবে এবং মর্যাদার সঙ্গে দেখা হবে।’
মার্কিন গণমাধ্যম এক্সিওস জানিয়েছে, দিমিত্রিয়েভ শনিবার (২৫ অক্টোবর) মিয়ামিতে ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে বসবেন। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাসকে তিনি আরও কয়েক মার্কিন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকের কথা জানিয়েছেন, যদিও তাদের নাম তিনি বলেননি।
সূত্র: রয়টার্স