
অভিবাসনবিরোধী ধরপাকড়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বড় ধরনের অভিযান চালিয়ে ৪৫০ জন ‘অবৈধ বিদেশিকে’ আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩০০ জনের বেশি মার্কিন মিত্র দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লি জে-উং সাংবাদিকদের বলেন, জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের একটি ব্যাটারি প্ল্যান্টে বড় ধরনের অভিযানের সময় মার্কিন অভিবাসন কর্তৃপক্ষ ‘একাধিক কোরিয়ান নাগরিককে আটক করেছে।’
লি উল্লেখ করেন, ‘আমাদের বিনিয়োগকারীদের অর্থনৈতিক কার্যকলাপ এবং আমাদের নাগরিকদের বৈধ অধিকার ও স্বার্থ অন্যায়ভাবে লঙ্ঘন করা উচিত নয়।’
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালকোহল, তামাক, আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্ফোরক ব্যুরোর আটলান্টা অফিস এক্স-পোস্টে জানিয়েছে, তারা হুন্দাই এবং এলজির ব্যাটারি সাইটে আইন প্রয়োগের সময় প্রায় ৪৫০ জন ‘অবৈধ বিদেশিকে’ আটক করেছে।
একটি কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে ইয়োনহাপ সংবাদপত্র জানিয়েছে, প্ল্যান্টে ৩০০ জনেরও বেশি দক্ষিণ কোরিয়ান নাগরিককে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে কূটনৈতিক কর্মী পাঠানো হয়েছে এবং পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য একটি টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হুন্দাই মোটর গ্রুপ এএফপিকে জানিয়েছে, অভিযানের বিষয়ে তাদের কোনো মন্তব্য নেই।
এলজি এনার্জি সলিউশন এএফপিকে জানিয়েছে, তারা ‘ঘনিষ্ঠভাবে’ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং প্রাসঙ্গিক সকল তথ্য সংগ্রহ করছে। ‘আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার সর্বদা আমাদের কর্মী এবং অংশীদারদের নিরাপত্তা ও সুস্থতা নিশ্চিত করা। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করব।’
এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ দক্ষিণ কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রে একাধিক কারখানাসহ গুরুত্বপূর্ণ অটোমেকার এবং ইলেকট্রনিক্স উৎপাদনকারী।
গত জুলাই মাসে দেশটি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক হুমকি কমাতে যুক্তরাষ্ট্রে ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। মার্কিন বাজারে প্রবেশাধিকার পেতে এবং শুল্ক এড়াতে দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানিগুলো যুক্তরাষ্ট্রে কারখানা নির্মাণে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।