
মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত হওয়া ১৯৮৬ বিশ্বকাপে দিয়েগো ম্যারাডোনার হাত ধরে দ্বিতীয়বারের বিশ্বকাপ জয় করে আর্জেন্টিনা। তার এক বছর পর রোজারিওতে জন্ম নেন লিওনেল আন্দ্রেস মেসি। তখন কেউ জানত ৩৬ বছর পর আলবিসেলেস্তেদের বিশ্বকাপ শিরোপা পুনরুদ্ধারের কাণ্ডারি হবেন লিও মেসি। ২০২২ সালে লুসাইল স্টেডিয়ামে ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বকাপ শিরোপা উঁচিয়ে ধরার মধ্য দিয়ে সর্বকালের সেরা ফুটবলারের খেতাব অর্জন করেন মেসি।
আজ আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জয়ের নায়কের ৬৫তম জন্মদিন। ১৯৬০ সালের এই দিনে আর্জেন্টিনার ল্যানুসে জন্ম নেন ফুটবল বিশ্বের মহানায়ক। সম্প্রতি এনবিসি নাইটলি নিউজে এক সাক্ষাৎকার দেন লিওনেল মেসি। সবার চোখে সর্বকালের সেরা মেসি হলেও মেসির চোখে সর্বকালের সেরা কে? এমন প্রশ্নের জবাবে মুচকি হেসে জানান, তার দেখা সর্বকালের সেরা দিয়েগো ম্যারাডোনা। মেসি বলেন, ‘আমাদের আর্জেন্টিনাবাসীর জন্য ম্যারাডোনা সর্বদা সেরা আদর্শ। ডিয়েগো সবকিছু ছাড়িয়ে গেছেন।’
১৯৯৭ সালে পেশাদার ফুটবল থেকে বিদায় নেয় আলবিসেলেস্তেদের ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক। সে সময় আর্জেন্টান অধিনায়ক ছিলেন ১০ বছর বয়সী কিশোর। বর্তমানে যাকে ম্যারাডোনার যোগ্য উত্তরসূরি বলা হয়। মেসি জানান, ম্যারাডোনার খেলা খুব বেশি দেখার সৌভাগ্য হয়নি তার। বলেন, ‘আমি ছোট ছিলাম এবং আমি তাকে কেবল কয়েক বার সরাসরি খেলতে দেখেছি।’
২০১০ সাল বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার কোচের দায়িত্ব সামলিয়েছিলেন ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক। সে সময় তরুণ মেসিকে কাছে ফেলেও ফুটবল নিয়ে দীক্ষা দিতেন প্রয়াত কিংবদন্তি। এই বিষয়ে মেসি বলেন, ‘তিনি এমন একজন ব্যক্তিত্ব যিনি আমাকে আবেগের সঙ্গে খেলতে এবং গর্বের সঙ্গে আর্জেন্টিনার পতাকাকে রক্ষা করতে শিখিয়েছিলেন। তিনি আমাকে ফুটবলকে সম্পূর্ণ ভিন্ন উপায়ে ভালোবাসতে শিখিয়েছিলেন।’
যদিও ম্যারাডোনা তার হৃদয়ের সবটা জুড়ে থাকলেও অন্যান্য খেলার কিংবদন্তিদের প্রতি সম্মান প্রকাশ করে মেসি। তিনি মাইকেল জর্ডান, রজার ফেদেরার, রাফায়েল নাদাল, নোভাক জোকোভিচ, লেব্রন জেমস এবং স্টিফেন কারিকে নিয়ে বলেন, ‘তারা এত দীর্ঘ সময় ধরে সর্বোচ্চ স্তরে প্রতিযোগিতা করেছিলেন।’