
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড অধ্যায় শেষ করে নতুন যাত্রা শুরু করলেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার অ্যান্টনি। স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল বেটিস দলবদলের শেষ দিনে তাকে কিনে নিয়েছে ২৫ মিলিয়ন ইউরোতে। চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে সেল-অন ক্লজ। ভবিষ্যতে বেটিস যদি বেশি দামে তাকে বিক্রি করে, সেক্ষেত্রে লাভের অর্ধেক যাবে ইউনাইটেডের ঘরে।
অ্যান্টনির ভবিষ্যৎ নিয়ে দুই ক্লাবের মধ্যে আলোচনার সূত্রপাত হয়েছিল অনেক আগেই। তবে মূল জটিলতা ছিল খেলোয়াড়ের উচ্চ বেতন। দীর্ঘ আলোচনার পর সমঝোতায় পৌঁছায় দুই পক্ষ এবং ইউনাইটেড নিশ্চিত করেছে, চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর আর কোনো আর্থিক দায় বহন করতে হবে না তাদের।
২০২২ সালে আয়াক্স থেকে ৯৫ মিলিয়ন ইউরো ট্রান্সফার ফিতে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে পা রাখেন অ্যান্টনি। সেই সময়কার কোচ এরিক টেন হাগের অধীনে তাকে সবচেয়ে বড় সাইনিং হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল। কিন্তু প্রিমিয়ার লিগে প্রত্যাশা অনুযায়ী নিজেকে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন তিনি। সমালোচনা, ইনজুরি ও খারাপ ফর্মে ক্রমেই দল থেকে ছিটকে পড়েন। শেষ পর্যন্ত ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ধারে যোগ দেন রিয়াল বেটিসে।
স্পেনে গিয়ে নিজের হারানো ছন্দ ফিরে পান ব্রাজিলিয়ান তারকা। ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনির অধীনে মাত্র অর্ধ মৌসুমে খেলেছেন ২৬ ম্যাচ। করেছেন ৯ গোল, সহায়তা করেছেন ৫টিতে। তার অবদানে বেটিস পৌঁছে যায় ইউরোপা কনফারেন্স লিগের ফাইনালে। যদিও শিরোপা অধরা থেকে যায়, ফাইনালে তারা ৪-১ গোলে হেরে বসে চেলসির কাছে।
বেটিস শুরু থেকেই পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিল, নতুন মৌসুমের পরিকল্পনায় অ্যান্টনি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। তাই তাকে স্থায়ীভাবে দলে ভেড়ানোই ছিল ক্লাবটির প্রধান অগ্রাধিকার। খেলোয়াড়ও আর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ফেরার কোনো আগ্রহ দেখাননি।
ব্রাজিলের টিএনটি স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অ্যান্টনি বলেন, *“ম্যানচেস্টারে এমন দিন কেটেছে যখন খাওয়ারও ইচ্ছা হতো না। আমি খুশি ছিলাম না, ফুটবল খেলায় আনন্দ খুঁজে পেতাম না। নতুন করে নিজেকে খুঁজে পাওয়া জরুরি ছিল, আর আমি মনে করি সেটা বেটিসেই সম্ভব হয়েছে।”*
অবশেষে ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে মানসিক প্রশান্তি ও নতুন চ্যালেঞ্জের দিকেই নজর দিলেন ২৪ বছর বয়সী এই উইঙ্গার। বেটিসের জার্সিতে সামনে থাকা মৌসুমে নিজেকে প্রমাণ করাই এখন তার প্রধান লক্ষ্য।