
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ংকে একজোড়া চিনের তৈরি সাওমি স্মার্টফোন উপহার দেওয়ার সময় গুপ্তচরবৃত্তি নিয়ে রসিকতা করে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, ‘মোবাইলে কোনো ব্যাক ডোর (তৃতীয় পক্ষ অনুমতি ছাড়া ডিভাইসে ঢুকে তথ্য চুরি বা নিয়ন্ত্রণ করা) আছে কিনা- তা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।’ চীনা প্রেসিডেন্টের এই বিরল রসিকতা বিশ্বব্যাপি আলোচনার তৈরি করেছে।
শনিবার (১ নভেম্বর) দেশটির গিয়াংজু শহরে এশিয়া-প্যাসিফিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে একে অপরকে উপহার প্রদান করে চীনা প্রেসিডেন্ট এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট। গত এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে শির প্রথম দক্ষিণ কোরিয়া সফর।
লি জে মিয়ংকে কোরিয়ান তৈরি ডিসপ্লে সম্বলিত দুটি শাওমি স্মার্টফোন উপহার দেন শি। এ সময় লি ব্যঙ্গ করে বলেন: ‘এই মোবাইলে কথা বলা কি নিরাপদ?।’ তখন শি’র মুখে হাসি ফুটে ওঠে।
পরে ডিভাইসগুলোর দিকে ইঙ্গিত করে শি বলেন: ‘আপনাদের পরীক্ষা করা উচিত কোনও ব্যাকডোর আছে কিনা?’ এ সময় লি জে মিয়ংও হাসি দেন।
দুই প্রেসিডেন্টের এই সংক্ষিপ্ত কথোপকথন নিয়ে তীব্র আগ্রহ দেখিয়েছে মিডিয়া। কারণ শি জিনপিংকে খুব কমই রসিকতা করতে দেখা যায়, গুপ্তচরবৃত্তির কথা তো দূরের কথা।
এদিকে ‘শাওমি ফোনের নিরাপত্তা নিয়ে লি রসিকতা করার পর শি হেসে ফেটে পড়েন’, গতকাল সোমবার সিউল শিনমুন দৈনিকে এমন একটি সংবাদ শিরোনাম করা হয়েছে।
ইউটিউবে তাদের এই কথোপকথনের একটি ভিডিওতে ৮০০ জনেরও বেশি মন্তব্য করেছেন। সেখানে অনেকেই তাদের এই হাসি নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। এবং বলেছেন, ‘মনে হচ্ছে যেন মার্শাল আর্ট মাস্টাররা দ্বন্দ্বযুদ্ধে লিপ্ত হচ্ছে।’
লির মুখপাত্র কিম ন্যাম-জুন এএফপিকে বলেন, ‘দুই দিনের ধারাবাহিক সাক্ষাতের সময় দুই নেতা কতটা ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন, এই মুহূর্তটি তা প্রমাণ করে।
তিনি আরও বলেন, ‘স্বাগত অনুষ্ঠান এবং উপহার বিনিময় থেকে শুরু করে ভোজ এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশনা পর্যন্ত উভয় নেতার ব্যক্তিগত রসায়ন গড়ে তোলেন। যদি এমন রসায়ন না হতো, তাহলে এই ধরণের রসিকতা সম্ভব হত না।’
লি আসলেই ফোনগুলো ব্যবহার করবেন কি-না জানতে চাইলে কিম এএফপিকে বলেন, ‘যদিও এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে তিনি ফোনটি ব্যবহার করতে পারবেন।’