
চরম অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় লিওনেল মেসির তিন দিনের ভারত সফর। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সফরের প্রথম দিনেই কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে চরম অব্যবস্থাপনার শিকার হন গ্যালারিভর্তি দর্শক।
হাজার-হাজার টাকা খরচ করে মেসিকে দেখতে যুবভারতী স্টেডিয়ামে এসেছিলেন ফুটবলপ্রেমীরা। তবে মেসিকে ঘিরে জটলার কারণে গ্যালারি থেকে ঠিকভাবে দেখতেই পায়নি কেউ। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে স্টেডিয়ামে ভাঙচুর চালান দর্শকরা।
শুধু তাই নয়, বেষ্টনী ভেঙে মাঠে ঢুকেছেন এবং কার্পেট, চেয়ার, ফুলের টব থেকে শুরু করে বিভিন্ন জিনিস লুটও করেছেন। এমন বাজে পরিস্থিতির জন্য মেসিকে ভারতে আনার মূল উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তকে আটকও করে পুলিশ।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শতদ্রুকে বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। সাদা কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে কঠোর নিরাপত্তার সঙ্গে তালে আদালতে নিয়ে আসে পুলিশ। এ সময় কোর্ট চত্বরেই বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। শতদ্রুকে উদ্দেশ্য করে চোর চোর শ্লোগান দিতে থাকেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা।
পুলিশের তরফ থেকে শতদ্রুকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। এছাড়া শতদ্রুর জামিনের বিরোধিতা করেন সরকারি আইনজীবী। মেসিকে ভারতের আনার এই মূল উদ্যোক্তাকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
শতদ্রুর আইনজীবী দ্যুতিময় ভট্টাচার্য বলেন, ‘মেসিকে কলকাতায় আনার নেপথ্যে আমার মক্কেলের মহৎ উদ্দেশ্য ছিল। ছোটরা যাতে ফুটবল নিয়ে উপযুক্ত জ্ঞান পায়, তা ছিল অন্যতম লক্ষ্য।’
যুবভারতীতে হওয়া বিশৃঙ্খলার দায় কার? এমন প্রশ্নে শতদ্রুর আইনজীবী বলেন, ‘এটা মানুষের ব্যর্থতা। পরিস্থিতি বুঝে তাদের প্রতিক্রিয়া দেওয়া উচিত ছিল। এ ভাবে চেয়ার ছোড়া উচিত হয়নি।’