
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাম্প্রতিক নির্বাচনে সরকারি প্রভাবের অভিযোগ তুলে ভোটযুদ্ধ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন তামিম ইকবালসহ ঢাকার বেশ কয়েকটি প্রভাবশালী ক্লাবের প্রতিনিধি। নির্বাচনের সময়সূচি পরিবর্তন না হওয়ায় বিক্ষুব্ধ ক্লাবগুলো ঘোষণা দিয়েছিল, তারা দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সব লিগে অংশ নেবে না। নির্বাচন হয়ে গেলেও সেই অবস্থান থেকে সরে আসেনি তারা। ফলে অক্টোবরের তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও মাঠে গড়ায়নি তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগ।
লিগ শুরু নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তার ঘোর কাটেনি। কবে শুরু হবে তৃতীয় বিভাগ, কিংবা প্রথম ও দ্বিতীয় বিভাগ-এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছে না কেউই। এমনকি আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে নির্ধারিত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) নিয়েও দেখা দিয়েছে শঙ্কা।
বর্জন করা ক্লাবগুলোর তালিকায় আছে আবাহনী, মোহামেডান, ব্রাদার্স ইউনিয়ন, লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ও শাইনপুকুরের মতো ঐতিহ্যবাহী দল। বিসিবি ও ক্লাবগুলোর টানাপোড়েনে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন ক্রিকেটাররা। বেশির ভাগ ক্রিকেটারের সঙ্গে এখনো যোগাযোগ করেনি কোনো ক্লাব, যা তাদের জীবিকা নিয়ে বড় অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।
এই সংকটে ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়িয়েছে ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)। সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ মিঠুন গেল রোববারে বর্জনকারী ক্লাবগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। দুই ঘণ্টার সেই আলোচনায় মূল আলোচ্য বিষয় ছিল ক্রিকেট চালু রাখা ও ক্রিকেটারদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। মিঠুন জানিয়েছেন, অনেক ক্লাবই বুঝতে পেরেছে ক্রিকেট বন্ধ রাখা সমাধান নয়, কারণ এতে হাজারো পরিবারের জীবিকা জড়িয়ে আছে।
এই আলোচনায় তামিম ইকবালও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি নিজে বিভিন্ন ক্লাবের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন মিঠুন। তার মতে, বেশির ভাগ ক্লাবই এখন আলোচনার পথে ফিরতে রাজি হয়েছে, যদিও কয়েকটি এখনো দ্বিধায় আছে। মিঠুন আশাবাদী, সব পক্ষের সমঝোতায় শেষ পর্যন্ত ঘরোয়া ক্রিকেট ফের মাঠে ফিরবে। কোয়াব সভাপতি বলেছেন, ‘দিন শেষে জয় হবে ক্রিকেটেরই।’