
চলতি সপ্তাহের মধ্যেই মার্কিন নৌবাহিনীর আধুনিক স্টেলথ ফাইটার (গোপনে হামলা চালাতে সক্ষম) ডিজাইন ও তৈরির জন্য একটি বড় চুক্তি অনুমোদন করতে যাচ্ছে পেন্টাগন। পুরোনো ‘এফ/এ-১৮ই/এফ সুপার হর্নেট’ বিমানগুলোর প্রতিস্থাপন করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন দিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) মার্কিন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট একজন ব্যক্তির বরাতে প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথের এ সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানা যায়।
বোয়িং কোম্পানি এবং নর্থরপ গ্রুমম্যান কর্পোরেশন এই বিমানটি তৈরির প্রতিযোগিতায় নেমেছে। নতুন ক্যারিয়ার-ভিত্তিক জেটটি নৌবাহিনীর ‘এফ/এ-১৮ই/এফ সুপার হর্নেট’ বহরের বিকল্প হবে, যা ১৯৯০ সাল থেকে পরিষেবায় রয়েছে।
এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কারা যুদ্ধ বিমান তৈরির দায়িত্ব পাচ্ছে তা চলতি সপ্তাহের মধ্যেই জানানো হবে। অতীতে শেষ মুহূর্তের ত্রুটির কারণে নৌবাহিনীর জেটের অগ্রগতি বিলম্বিত হয়েছিল।
বিলম্বের কারণ
বসন্ত ও গ্রীষ্মে পেন্টাগন এবং কংগ্রেসের মধ্যে তহবিল বিরোধের কারণে প্রোগ্রামটির অগ্রগতি বিলম্বিত হয়। ‘ন্যূনতম উন্নয়ন তহবিল’ বজায় রাখার জন্য পেন্টাগন জেটটির জন্য ৭৪ মিলিয়ন ডলার চেয়েছিল।
রয়টার্স মে মাসে জানিয়েছে, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সরবরাহ শৃঙ্খলের ক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে পেন্টাগনের কিছু কর্মকর্তা এই কর্মসূচি তিন বছর পর্যন্ত বিলম্বিত করার চেষ্টা করেছিলেন। কংগ্রেস এবং নৌবাহিনী একটি চুক্তি প্রদানের ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে চেয়েছিল।
কয়েক মাস ধরে চলা বিলম্বের সময় প্রতিরক্ষা ঠিকাদার নর্থরপ এবং বোয়িং নির্ধারিত সময়ে জেটটি তৈরি করতে লড়াই করবে কিনা তা নিয়েও বিতর্ক ছিল।
সূত্র জানায়, মার্চ মাসে মার্কিন বিমান বাহিনীর এফ-৪৭ জেট তৈরির জন্য বোয়িংকে চুক্তিবদ্ধ করার পর প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা এই প্রকল্পের জন্য পর্যাপ্ত প্রকৌশলী নিয়োগ করতে পারবে কিনা তা নিয়ে বিতর্ক করেছিলেন।
এফ/এ এক্সক্স জেটের পরিমাণ, মূল্য এবং প্রোগ্রামের সঠিক সময়সীমা এখনও গোপন রাখা হয়েছে, তবে পূর্ববর্তী এই ধরনের চুক্তি – যেমন এফ-৩৫ এর জন্য- তাদের জীবদ্দশায় কয়েক বিলিয়ন ডলার মূল্যের ছিল।
মার্কিন নৌবাহিনী এখনও ২৭০টিরও বেশি লকহিড মার্টিন কর্প কেনার পরিকল্পনা করছে। প্রথম উৎপাদিত জেটগুলো ২০৩০ সালের মধ্যে পরিসেবাতে প্রবেশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।