Dark Mode Light Mode

Keep Up to Date with the Most Important News

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Follow Us
Follow Us
English English

মামলার বিষয়ে অফিশিয়াল বিবৃতি দিলেন মেহজাবীন

মামলার বিষয়ে অফিশিয়াল বিবৃতি দিলেন মেহজাবীন মামলার বিষয়ে অফিশিয়াল বিবৃতি দিলেন মেহজাবীন
মামলার বিষয়ে অফিশিয়াল বিবৃতি দিলেন মেহজাবীন


দেশের জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর বিরুদ্ধে পারিবারিক ব্যবসার পার্টনার হিসেবে রাখার বিনিময়ে ২৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ, হুমকি-ধামকি এবং ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার একটি আদালত। 

২৭ লাখ টাকা ‘আত্মসাৎ ও হুমকি-ভয়ভীতি’র অভিযোগ করা মামলা প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অফিশিয়াল বিবৃতি দিয়েছেন । ওই বিবৃতিতে ৭টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট তুলে ধরেছেন তিনি।

Advertisement

সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকালে নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে মামলা সংক্রান্ত একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দেন মেহজাবীন। সেখানে তিনি বাদী আমিরুল ইসলামের করা মামলাকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেন। জানান, তার ও ১৯ বছর বয়সী ভাই আলিসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে করা মামলা সম্পর্কে গত ৯ মাসে তিনি কোনো তথ্য পাননি।
 
যে কারণে ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক আফরোজা তানিয়া গত ১০ নভেম্বর তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ায় আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন মেহজাবীন। আদালত শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন। আগামী ১৮ ডিসেম্বর মেহজাবীনের জবাব দাখিলের দিন ধার্য করেন আদালত।
 
বাদী আমিরুল ইসলামের ফৌজদারি কার্যবিধির ১০৭/ ১১৭(৩) ধারায় দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, দীর্ঘদিন পরিচয়ের সুবাদে আসামি মেহজাবীন চৌধুরী তার নতুন পারিবারিক ব্যবসার পার্টনার হিসেবে রাখার আশ্বাস দেন বাদীকে। এর জন্য নানা প্রলোভন দেখানো হলে বাদী নগদ অর্থ এবং বিকাশের মাধ্যমে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে মোট ২৭ লাখ টাকা দেন।
 
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, মেহজাবীন ও তার ভাই দীর্ঘদিন হযে গেলেও ব্যাবসায়িক কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ না নেয়ায় বাদী বিভিন্ন সময় টাকা চাইতে শুরু করেন। কিন্তু অভিযুক্ত আসামি আজকে দিবো, কালকে দিবো বলে দীর্ঘদিন কালক্ষেপণ করে।



 
গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে পাওনা টাকা চাইতে গেলে অভিযুক্ত আসামিরা ১৬ মার্চ হাতিরঝিল রোডের পাশে একটি রেস্টুরেন্টে বাদীকে আসতে বলেন। ওইদিন ঘটনাস্থলে গেলে মেহজাবীন ও তার ভাইসহ আরও অজ্ঞাতনামা ৪ থেকে ৫ জন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন বাদীকে। হুমকিও দেন। এ ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করেন বাদী আমিরুল।
 
এ অভিযোগকে অস্বীকার ও মিথ্যা দাবি করেন মেহজাবীন। স্ট্যাটাসে নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোকে ভুল প্রমাণ করে সত্য তুলে ধরেন তিনি।
 
 পাঠকের জন্য অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো-
 
আমার অফিসিয়াল বিবৃতি
একজন অজানা ব্যক্তি ২০২৫ সালের মার্চ মাসে আমার ও আমার ১৯ বছর বয়সী ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। গত নয় মাসে আমি এই মামলার কোনো তথ্য পাইনি। কারণ অভিযোগকারী ব্যক্তি পুলিশকে আমার সঠিক ফোন নম্বর, সঠিক ঠিকানা বা কোনো যাচাইকৃত তথ্য দিতে পারেননি। তিনি দাবি করেন যে ২০১৬ সাল থেকে তিনি আমার সাথে ‘ব্যবসা’ করছিলেন। কিন্তু—
 
১. কোনো যোগাযোগের প্রমাণ নেই
তিনি বলেন যে তিনি ২০১৬ সাল থেকে আমাকে ফেসবুকে মেসেজ দিতেন। কিন্তু তিনি যা দেখাতে পারেননি-
• একটি মেসেজ যেটা তিনি আমাকে পাঠিয়েছিলেন মেসেজের, ওয়াটসাপ বা আমার নম্বরে,
• কিংবা আমার পক্ষ থেকে একটি উত্তর,
• এমনকি একটি স্ক্রিনশটও না।
 
২. তার পরিচয় অসম্পূর্ণ
তার সম্পূর্ণ পরিচয়পত্র এখনো জমা দেয়া হয়নি। তার এনআইডি পর্যন্ত অনুপস্থিত।
 
৩. অভিযোগকারী ও তার আইনজীবী ফোন বন্ধ করে রেখেছেন
গতকাল খবর প্রকাশ হওয়ার পর থেকে-
• অভিযোগকারী তার ফোন বন্ধ করে রেখেছেন,
• এমনকি তার আইনজীবীর নম্বরও বন্ধ।
 
৪. আর্থিক লেনদেনের কোনো প্রমাণ নেই
তিনি দাবি করেন যে তিনি আমাকে ২৭ লাখ টাকা দিয়েছেন। কিন্তু তিনি দেখাতে পারেননি—
• কোনো ব্যাংক লেনদেন,
• কোনো চেক,
• বিকাশ লেনদেন,
• কোনো লিখিত চুক্তি,
• কোনো রশিদ,
• কোনো সাক্ষী কিছুই না। একটি কাগজপত্রও নেই।
 
৫. ১১ ফেব্রুয়ারির ঘটনাটি সম্পূর্ণ প্রমাণহীন
তিনি দাবি করেন যে ১১ ফেব্রুয়ারি আমি তাকে চোখ বেধে হাতিরঝিলের একটি রেস্টুরেন্টে নিয়ে গিয়েছিলাম। আমার ছোট ভাইসহ আরও ৪–৫ জনকে নিয়ে। গত নয় মাসে তিনি দেখাতে পারেননি-
• রেস্টুরেন্ট বা আশেপাশের রাস্তার এক সেকেন্ডেরও সিসিটিভি ফুটেজ,
• কোনো সাক্ষী,
• কোনো প্রমাণ, কিছুই না।
হাতিরঝিল ঢাকার সবচেয়ে বেশি সিসিটিভি-নিয়ন্ত্রিত এলাকা — তবুও তিনি একটি ছবি বা ভিডিও ফুটেজ দেখাতে পারেননি।
 
৬. গত নয় মাসে আমি কোনো নোটিশ পাইনি
এই নয় মাসে আমি পাইনি—
• কোনো পুলিশ স্টেশনের ফোন কল,
• কোনো কোর্টের নোটিশ বা ডকুমেন্ট।
একটি নোটিশ পেলেও আমি অনেক আগে থেকেই আইনি ব্যবস্থা নিতাম।
 
৭. আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল
 
এই মামলার কোনো ভিত্তি না থাকলেও, যখন জানতে পারলাম যে একটি অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে, তখন আমি আইনি প্রক্রিয়া মেনে জামিন নিয়েছি — কারণ আমি আমাদের আইন ও নিয়ম মানি।
প্রমাণ ছাড়া দায়ের করা মামলা কখনো সত্য হয়ে যায় না।
 
সত্য খুব দ্রুতই আদালতে পরিষ্কার হয়ে যাবে। এখনকার দিনে কাউকে অপমান করা, মানহানি করা বা ভাইরাল হওয়ার জন্য অন্যকে ব্যবহার করা খুবই সহজ হয়ে গেছে। এই ব্যক্তির যেই উদ্দেশ্যই থাকুক, আমার বা আমার পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করে সে যা-ই করতে চায় —আমি বিশ্বাস করি সবকিছু খুব দ্রুতই পরিষ্কার হয়ে যাবে।
 
এর আগে পর্যন্ত আমি সবাইকে অনুরোধ করবো—দয়া করে সহানুভূতিশীল হোন, দয়া করে মানবিক হোন এবং কাউকে না জেনে কোনো মিডিয়া ট্রায়াল শুরু করবেন না।
 
গত ১৫ বছর ধরে আমি আমার কাজ, আমার পেশা এবং আমার দর্শকদের জন্য যে পরিমাণ পরিশ্রম এবং নিষ্ঠা দিয়ে এসেছি, সেই পরিশ্রমের পরেও আজ আমাকে এসব ব্যাখ্যা করতে হচ্ছে—এটাই সবচেয়ে দুঃখজনক।
 





Source link

Keep Up to Date with the Most Important News

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Add a comment Add a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous Post
ট্রাইব্যুনালে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমকর্মীদের ভিড়

ট্রাইব্যুনালে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমকর্মীদের ভিড়

Next Post
শেখ হাসিনার রায় ঘিরে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: ডিএমপি

শেখ হাসিনার রায় ঘিরে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: ডিএমপি

Advertisement