
আবুধাবি থেকে ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট মাঝ আকাশে প্রবল টার্বুলেন্সের কবলে পড়লে গুরুতর আহত হন এক কেবিন ক্রু। দুর্ঘটনায় তাঁর বাম হাতের ওপরের অংশ ভেঙে যায়।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিজি-০১২৮ ফ্লাইটটি চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকায় ফিরছিল। প্রায় ১৫ হাজার ফুট উচ্চতায় অবতরণের প্রস্তুতির সময় হঠাৎ করে শুরু হয় প্রবল ঝাঁকুনি। এ সময় কেবিনে দায়িত্বে থাকা শাবামা আজমী মিথিলা ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যান। ছয় সেকেন্ডের ওই টার্বুলেন্সেই ঘটে এই দুর্ঘটনা।
মজার বিষয় হলো, যাত্রীদের জন্য তখনো সিটবেল্ট সংকেত চালু করা হয়নি। ফলে টার্বুলেন্সটি একপ্রকার অপ্রত্যাশিত ও অব্যবস্থাপনার চিত্র ফুটিয়ে তোলে।
এক্স-রেতে দেখা গেছে, মিথিলার বাম হাতের কনুইয়ের ওপরে থাকা হাড় ভেঙে গেছে। তাঁর স্বাস্থ্যের ঝুঁকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
তবে আরও চমকপ্রদ তথ্য হলো, দুর্ঘটনার পরপরই হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মেডিকেল ইউনিটের পক্ষ থেকে কোনো চিকিৎসক বা অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়নি। বাধ্য হয়ে এক নারী সহকর্মীর সহায়তায় মিথিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ছুটির দিন হওয়ায় রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে (পঙ্গু হাসপাতাল) তাকে ভর্তি করানো হলেও তৎক্ষণাৎ কোনো সার্জারি হয়নি। শুধু প্রাথমিক চিকিৎসা ও প্লাস্টার দিয়ে তাকে বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
ফ্লাইটটির ক্যাপ্টেন ছিলেন ইন্তেখাব, যিনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ডেপুটি চিফ অব ফ্লাইট সেফটি পদেও দায়িত্ব পালন করছেন। ফ্লাইট ইনচার্জ ছিলেন পার্সার রনি।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার জানান, “আমাদের সহকর্মী মিথিলা আবুধাবি থেকে ফেরার পথে টার্বুলেন্সের শিকার হয়ে গুরুতর আহত হন। আমরা তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।”