
বাংলাদেশ-হংকং ম্যাচের ম্যাচ কমিশনারও অনুশীলন মাঠ দেখে হতবাক। তিনিও নাকি হংকংয়ে মাঠের সমালোচনা করেছেন। তবে হংকংয়ে এসে নানা সমস্যায় পড়তে হবে সেটি আগেই জানা ছিল বাংলাদেশের। কথাটা বলেছেন দলের মিডফিল্ডার সোহেল রানা। তিনি হংকংয়ে বাফুফেকে জানিয়েছেন, ‘এই জিনিসটা (সমস্যা) যে আমাদের ফেস করতে হবে, সেই মেন্টালিটি নিয়েই আমরা এসেছি। কাল অনুশীলনের জন্য যে মাঠ দিয়েছিল, এর দূরত্ব আমাদের হোটেল থেকে এক ঘণ্টারও বেশি। মাঠ খুব বাজে ছিল। আমরাও মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম আমাদের সঙ্গে ওরা এরকম করবে। আজও একই হয়েছে।’
এসব কিছু ছাপিয়ে যেতে চায় বাংলাদেশ। মাঠের লড়াইয়ে এসব কিছু মনেও থাকবে না। ‘আমরা হংকংয়ের সবকিছু মাথায় নিচ্ছি না, মানসিকভাবে সেটা ভালোভাবেই নিচ্ছি। খেলার সঙ্গে ম্যাচ করতে চাচ্ছি না। আমরা চাচ্ছি দ্রুতই যেন হংকংয়ের এই আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া যায়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। পরের ম্যাচ কীভাবে খেলব, কী পরিকল্পনা থাকবে বা ঢাকার ম্যাচে যে ভুলগুলো ছিল সেগুলো নিয়ে কাজ করছি।’

আত্মবিশ্বাস নিয়ে সোহেল রানা বললেন, ‘ঢাকায় হংকংয়ের বিপক্ষে যেভাবে খেলেছি, তাতে আমি আশা করি হংকংকে হারানোর সামর্থ্য আমাদের আছে।’ কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরার কোনো অভিযোগ নেই। তিনি হংকংয়ে গিয়ে খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিলেও তিনি বলেছেন, ‘ঢাকা থেকে এখানে আসার ভ্রমণটা দীর্ঘ ছিল। বিমানবন্দর থেকে হোটেলে পৌঁছাতেও কিছুটা সময় লেগেছে। আমরা দেরিতে পৌঁছেছি। কিন্তু খেলোয়াড়দের বিশ্রামের জন্য যথেষ্ট। এখান আমাদের কাজ হচ্ছে মানিয়ে নেওয়া।’

হামজা চৌধুরীকে অধিনায়ক করা যায় কিনা সেই প্রশ্নে কাবরেরা বলেছেন, ‘যেমনটা সবসময় বলেছি, হামজা ইতিমধ্যেই দলের একজন অধিনায়ক। মাঠে এবং মাঠের বাইরে সে একজন নেতা। একজন খেলোয়াড় যে শুরু থেকেই তার সতীর্থদের পথ দেখাচ্ছে। কিছু ভুল করেছি। সেগুলো সংশোধন করে আমরা আবার জয়ের জন্য লড়াই করবো। আমরা কিছু ভুল করেছি, সেটাই কাল হয়ে দাঁড়ায়। সামগ্রিকভাবে ডিফেন্সিভ ও অফেন্সিভ পরিকল্পনাগুলো ভালোই কাজে লেগেছে। অবশ্যই ছোট কিছু সংশোধন করতে হতে পারে। তবে আমরা প্রস্তুত হয়ে আবারও জয়ের জন্য লড়ব।’