
ভেনেজুয়েলা ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর প্রধানমন্ত্রী কমলা পারসাদ-বিসেসারকে দেশে অবাঞ্ছিত ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করেছে। এটি দুই দেশের মধ্যে চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনার সর্বশেষ ঘটনা।
পারসাদ-বিসেসার সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে সামরিক অভিযানের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছিলেন, বিশেষ করে মাদকপাচার রোধে নৌকাগুলির উপর হামলার প্রশংসা করেন। এই অবস্থান ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রপতি নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে বিরোধের সৃষ্টি করেছে।
ভেনেজুয়েলার জাতীয় পরিষদ গত মঙ্গলবার পারসাদ-বিসেসারের দেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট দিয়েছে। একদিন আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে পারসাদ-বিসেসার মন্তব্য করেন, ‘তারা কেন ভাববে আমি ভেনেজুয়েলায় যেতে চাইব?’ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জটিল, কারণ তাদের মধ্যে প্রায় ১১ কিলোমিটার প্রশস্ত ছোট উপসাগর রয়েছে, যা সামরিক ও কূটনৈতিক দিক থেকে সংবেদনশীল এলাকা।
এইদিকে মাদুরোর সরকার মার্কিন অভিযানের বিপক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। জাতিসংঘে ভেনেজুয়েলার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভান গিল পিন্টো মন্তব্য করেছেন, এই হামলা অবৈধ ও অনৈতিক সামরিক হুমকি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় নিহতের ঘটনা- বিচারবহির্ভূত হত্যার সমতুল্য দেখছেন। এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৭ জন নিহত হয়েছে, যদিও তাদের পরিচয় বা মাদকপাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ প্রকাশিত হয়নি।
এইদিকে পারসাদ-বিসেসারের অবাঞ্ছিত ঘোষণা দুই দেশের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোও দেশটিতে অবৈধ অভিবাসীদের ‘গণবিতাড়নের’ কথা বিবেচনা করছে। এই নাগরিকরা অধিকাংশ ভেনেজুয়েলার নাগরিক। অন্যদিকে ভেনেজুয়েলার গ্যাস চুক্তি স্থগিত করেছে। এতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জটিল হচ্ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে সাতটি যুদ্ধজাহাজ, একটি সাবমেরিন, ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহে বোমা হামলার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অভিযান কলম্বিয়ার উপকূল ও ভেনেজুয়েলার নিকটবর্তী জলে বিস্তৃত হয়েছে। এর ফলে ওই অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে।