
এই গল্পটা চীনা চিকিৎসক লি চুয়াংয়ের, বয়স ৩৭। শৈশব থেকে পোলিও আক্রান্ত এই যুবকের পর্বত আরোহণের প্রতি ভালবাসা চীনে ভাইরাল হয়েছিল। তিনি হাঁটতে পারেন না। ছেলেবেলায় ভিক্ষা করতে বাধ্য হয়েছিলেন। যখন পড়তে শেখেন, তখন তার বয়স ১৬ বছর। তবে তার অদম্য জেদ জীবন যুদ্ধে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে তাকে। এখন অন্যদের জীবন বাঁচান পেশায় চিকিৎসক লি চুয়াংয়ে।
তার জন্ম ১৯৮৮ সালে। চীনের হেনান প্রদেশে এক দরিদ্র কৃষক পরিবারে জন্মেছিলেন তিনি। মাত্র সাত মাস বয়সে পোলিওতে আক্রান্ত হন। হাঁটার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। বসে গোড়ালির উপর ভর দিয়ে ছাড়া চলতে পারেন না তিনি।
ছেলেবেলায় অন্যান্য শিশুদের মতোই ব্যাগ কাঁধে স্কুলে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু বাস্তবে তেমনটা হয়নি। শৈশব থেকেই উপহাসের সম্মুখীন হতে হয়েছিল লি চুয়াংয়েকে।
কিছু বাচ্চা তাকে “অকেজো”, “খাওয়া ছাড়া অন্যকিছু করতে পারে না” বলে উপহাসও করেছে। সেই সব দিনের কথা স্মরণ করে ডা. চুয়াংয়ে বলেছেন, তখন খুবই কষ্ট হতো আমার।
লি চুয়াংয়ের বয়স যখন নয় বছর, তখন তার বাবা-মা জানতে পারেন পায়ে অস্ত্রোপচার হলে হাঁটতে পারবেন তিনি। তাই টাকা ধার করেও অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা করেছিলেন তারা।
এই অস্ত্রোপচারকে ঘিরে তার নিজেরও অনেক আশা ছিল বৈকি। “(হাসপাতালের) ওয়ার্ডে যে সময় আমি সুস্থ হচ্ছিলাম, তখন অন্যান্য শিশুরা কাঁদত। কিন্তু আমি হাসতাম।”
“কারণ আমার মনে হয়েছিল আমি শীঘ্রই একজন স্বাভাবিক মানুষের মতো হাঁটতে পারব,” বলছিলেন তিনি। কিন্তু অস্ত্রোপচার সফল না হওয়ায়, তার সেই আশা পূরণ হয়নি।
ক্রমে গভীর বিষণ্ণতা তাকে গ্রাস করে। লি চুয়াংয়ে জানিয়েছেন, সেই সময় কীভাবে তার মনে হতে থাকে এই জীবন অর্থহীন এবং তা রাখাই শ্রেয়।
কিন্তু লি চুয়াংয়েকে হাল না ছাড়ার কথা বলেন তার মা। তিনি বলেছিলেন, তোমাকে বড় করছি যাতে আমাদের যখন বয়স হবে তখন কথা বলার জন্য কাছে পাই।
“সারমেয় বা বিড়াল তো কথা বলতে পারবে না। কিন্তু তুমি তো পারবে।”
মায়ের এই কথাগুলো তাকে নাড়িয়ে দিয়েছিল।
আমি ভাবতে থাকি আমার বাবা-মা, আমার পরিবার আমার জন্য কতকিছু ত্যাগ করেছে। নিজেকে ধরে রাখতে পারিনি। কান্নায় ভেঙে পড়ি আমি। ঠিক করি আমি বাঁচব, তবে শুধু নিজের জন্য নয়, তাদের জন্য, বলছিলেন ডা. চুয়াংয়ে।
এর অল্পদিনের মধ্যেই তাদের গ্রামে এক বহিরাগত ব্যক্তি এসে উপস্থিত হন। মন্দিরে ধূপ বিক্রি করার জন্য প্রতিবন্ধী শিশুদের খোঁজ করছিলেন তিনি।
সেই সময় সাক্ষাৎ হয় লি চুয়াংয়ের সঙ্গে। মাসে তার বাবা যে অর্থ উপার্জন করতেন, সেই টাকা প্রতি মাসে পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দেন ওই ব্যক্তি, পরিবর্তে লি চুয়াংয়েকে কাজ দেওয়ার কথা বলেন।
আমার বাবা-মা এর ঘোর বিরুদ্ধে ছিলেন। কিন্তু আমি ভেবেছিলাম কিছু টাকা অন্তত উপার্জন করতে পারব। বোঝা হয়ে থাকার চাইতে এটা ভাল, বলেছিলেন তিনি।
ওই ব্যক্তির সঙ্গে যাওয়ার শেষপর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেন।
রাস্তায় ভিক্ষা
কাজের সেই প্রতিশ্রুতি অবশ্য মিথ্যে ছিল। চিকিৎসক চুয়াংয়ে দাবি করেছেন যে ওই অপরিচিত ব্যক্তি আসলে একটা র্যাকেট চালাত যেখানে প্রতিবন্ধী শিশু এবং প্রাপ্ত বয়স্কদের দিয়ে ভিক্ষার কাজ করানো হতো।
পরবর্তী সাত বছর ধরে তাকে অন্যান্যদের সঙ্গে রাস্তায় ভিক্ষা করতে বাধ্য করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন লি চুয়াংয়ে।
একজন নতুন “বসের” অধীনে কাজ করতে বলা হয় তাকে। প্রথম রাতেই এক শিশু তাকে কঠোর পরিশ্রম করার পরামর্শ দিয়েছিল। অন্যথায় তাকে মারধর করা হবে বলেও সতর্ক করেছিল সে। সেই আশঙ্কা পরে সত্যি বলে প্রমাণিতও হয়েছিল।
পরের দিন রাস্তার ধারে তাকে ফেলে রাখা হয়। গায়ের শার্ট সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, দুই পা এমন ভাবে মুড়ে দেওয়া হয়েছিল যেন তাকে দেখে আরো বেশি করুণার উদ্রেক হয়। তার সামনে রেখে দেওয়া হয়েছিল একটা বাটি।
প্রথমে তিনি বুঝতে পারেননি কী হচ্ছে? লোকে কেন তাকে টাকা দিচ্ছে। শেষে যখন এক ব্যক্তি তাকে জিজ্ঞাসা করে কেন স্কুলে না গিয়ে তিনি ভিক্ষা করছেন, সেই সময় গোটা বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
আমার গ্রামে ভিক্ষা করাকে লজ্জাজনক বলে মনে করা হয়। প্রথমে বুঝতেই পারিনি আমি কী করছি। যখন বুঝতে পারি, তখন ভেঙে পড়েছিলাম, বলেছিলেন তিনি।
দিনে কয়েক শত ইউয়ান আয় হতো তার। ১৯৯০-এই অঙ্কটা অনেকটাই ছিল। কিন্তু তার সবই চলে যেত তার বসের কাছে।
তার কথায়, অন্যান্য বাচ্চাদের চেয়ে কম আয় করলে আমাকে কথা শুনতে হতো। বলা হতো আমি কুঁড়ে। কখনো কখনো মারধরও করা হতো
“ওইদিনগুলো খুবই যন্ত্রণাদায়ক ছিল।”
যে কয়েক বছর এইভাবে কেটেছে, তারমধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু পালিয়ে গিয়েছে। কাউকে আবার পুলিশ উদ্ধার করে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে। কিন্তু লি চুয়াংয়ে রাজি হননি। এমনকী পুলিশ তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে এলেও তিনি অস্বীকার করেন। পাল্টা তাদের জানান, আত্মীয়ের সঙ্গে থাকেন। এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে একটাই কারণ ছিল। যে কোনোভাবে তার পরিবারকে সাহায্য করতে চেয়েছিলেন লি চুয়াংয়ে।
সাত বছর ধরে চীনের বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে ভিক্ষা করেছেন- তা সে শীত হোক বা গ্রীষ্ম।
মনে হতো যেন নরকে বাস করছি। আমি লজ্জায় কুঁকড়ে যেতাম, কারো সঙ্গে নজর মেলাতে পারতাম না। আমার পা দু’টো এমন ভাবে পিছনের দিকে বাঁকানো থাকত যেন মানুষের দয়া হয়, বলেছেন ডা. চুয়াংয়ে।
“প্রার্থনা করতাম যেন বৃষ্টি হয় বা আধার নেমে আসে যাতে আমাকে ভিক্ষা করতে না বেরোতে হয়,” বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস আউটলুক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন লি চুয়াংয়ে।
প্রতিবার নতুন বছর শুরু হওয়ার আগে পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন। তাদের আশ্বস্ত করতে জানাতেন সবকিছু ঠিক আছে, তারা যেন উদ্বিগ্ন না হন।
ডা. চুয়াংয়ে বলেছেন, ফোনের পরই আমার ঘরে বসে কাঁদতাম। আমি যে রাস্তায় বসে ভিক্ষা করছি সেটা তাদের বলতে পারিনি। এরপর কুড়ি বছর কেটে গেলেও সেই ভয়াবহ স্মৃতি তাকে তাড়া করে।
ভিক্ষা করার সেই স্মৃতি আমার মনে গভীর ছাপ ফেলেছে। আমি এখনো স্বপ্ন দেখি। নিজেকে বোঝানোর চেষ্টা করি যে এটা একটা স্বপ্ন মাত্র, বলেছেন তিনি।
নতুন পথের সন্ধান দেয় শিক্ষার আলো
তার জীবনের এই অধ্যায় বদলে দিয়েছিল একটা খবরের কাগজ। হাতে এসে পড়া ওই কাগজ দেখে বুঝতে পারেন তিনি শুধুমাত্র সেই সমস্ত অক্ষরই চেনেন যা দিয়ে তার নাম লেখা হয়। ১৬ বছর বয়সে এসে এই উপলব্ধিই তাকে বাধ্য করে বাড়ি ফিরে স্কুলে ভর্তি হতে।
তিনি ভাবতে থাকেন, আমি লিখতে বা পড়তে পারি না। একমাত্র শিক্ষাই আমার জীবন বদলে দিতে পারে।
এই সময়েই চীনা সরকার এক নতুন পলিসি আনে যার আওতায় প্রতিবন্ধী শিশুদের দিয়ে ভিক্ষা করানো আইনত অপরাধ বলে ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে, লি চুয়াংয়ে জানতে পারেন তার পরিবারের আর্থিক অবস্থা কিছুটা হলেও বদলেছে। তার বসের কাছে বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি, তার অনুমতিও মেলে।
পরিবারের সঙ্গে শেষপর্যন্ত দেখা হওয়ার পরই সবাই জানতে পারে আসলে কীভাবে দিন কাটাচ্ছিলেন তিনি। অন্যদিকে লি চুয়াংয়ে জানতে পারেন তাকে যে ব্যক্তি কাজ দেওয়া এবং তার পরিবারকে প্রতি মাসে টাকা পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বাস্তবে তিনি তা করেননি।
প্রতিশ্রুতি দেওয়া অঙ্কের চেয়ে অনেকটাই কম টাকা তার পরিবারকে পাঠানো হতো। শেষপর্যন্ত পরিবারের চেষ্টায় স্কুলে ভর্তি হন তিনি। তার চেয়ে দশ বছরের ছোট পড়ুয়াদের সঙ্গে ক্লাসে বসেন। প্রথমদিনে পড়ুয়াদের অনেকেই তার ডেস্কের সামনে এসে ঘিরে ধরেছিল। কিন্তু এবার আর ভ্রূক্ষেপ করেননি তিনি।
সেই স্মৃতির প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, আমি আর একটুও কষ্ট পাইনি। এর আগে অনেক উপহাস, অনেক যন্ত্রণা সহ্য করেছি। আমি এখন শেখার বিষয়ে মনযোগী হব বলে স্থির করি।
সবচেয়ে পরিশ্রমী পড়ুয়াদের মধ্যে ছিলেন তিনি। যদিও শারীরিক কারণে অনেক কিছুই তারপক্ষে কঠিন ছিল। স্কুলের শৌচাগারে গিয়ে পৌঁছানোও কষ্টদায়ক ছিল।
টয়লেটে যেতেও অনেক কষ্ট করতে হতো। তাই স্কুলে থাকাকালীন অনেক সময় আমি জল কম খেতাম, বলেছেন তিনি।
তার অদম্য চেষ্টা এবং অধ্যাবসায়ের উপর ভর করেই নয় বছরের মধ্যে প্রাথমিক এবং সেকেন্ডারি এডুকেশন শেষ করেন তিনি। অনেক সময় গ্রামের অন্যান্য বাচ্চাদের খেলতে ডেকে তাদের কাছ থেকে হোমওয়ার্কের জন্য সাহায্যও চেয়েছেন।
কলেজে ভর্তির সময় শারীরিক কারণে তার কাছে খুব একটা বিকল্প না থাকলেও, মেডিক্যাল স্কুলে পড়ার জন্য আবেদন করার পথ খোলা ছিল।
তার কথায়, ভাবলাম আমি যদি ডাক্তার হই, তাহলে আমার শারীরিক অবস্থা নিয়ে গবেষণা করতে পারব, পরিবারকে সাহায্য করতে পারব। প্রাণ বাঁচাব, সমাজের প্রতি আমার দ্বায়িত্বও পালন করতে পারব।
লি চুয়াংয়ে ২৫ বছর বয়সে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন। সেখানে সুযোগ-সুবিধাগুলো সহজলভ্য হলেও ব্যবহারিক ক্লাসের সময় সমস্যার সম্মুখীন হন।
তিনি বলেছেন, আমার সহপাঠীরা সহজেই রোগীদের দেখার জন্য শিক্ষকের সঙ্গে যেতে পারত বা ইন্টার্নশিপের সময় ওয়ার্ডের মধ্যে দৌড়াদৌড়ি করতে পারত। কিন্তু আমার পক্ষে তা কঠিন ছিল।
অন্যান্যরা যে বিষয় একদিনে শিখেছে, আমার তার চেয়ে বেশি সময় লেগেছে, বলেছেন চুয়াংয়ে।
তিনি বুঝতে পারেন আরো মজবুত হতে হবে তাকে। এরপরই পর্বত আরোহণের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। প্রথমবার মাউন্ট টাইয়ের শিখরে পৌঁছতে তার সময় লেগেছিল পাঁচদিন। তার হাতের তালু এবং পা কেটে রক্তপাত হচ্ছিল। কিন্তু হার মানেনি এই তরুণ।
পর্বত আরোহণের প্রতি ক্রমে তার ভালবাসা জন্মায়। পাহাড়ে চড়ার ভিডিও ইতিমধ্যে সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ডা. চুয়াংয়ে এখন শিনজিয়াংয়ে একটা ছোট গ্রামীণ হাসপাতাল চালান। দিন হোক বা রাত রোগীদের জন্য সর্বদা হাজির হন তিনি। রোগীরা তাকে “অলৌকিক ডাক্তার” বলে সম্বোধন করেন।
এই চিকিৎসকের কথায়, নিজের হাতে রোগীদের যত্ন নেওয়া, প্রতিবেশীদের স্বাস্থ্যের উন্নতি- আমাকে সবচেয়ে বেশি সন্তুষ্টি দেয়। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী চীনা সম্প্রদায়ের কাছে তার সফরের এই কাহিনী পৌঁছেছে জেনে কিছুটা অবাকই হয়েছেন তিনি। তবে তার আশা, তার এই কাহিনী মানুষের মনোভাব পরিবর্তনে সাহায্য করবে।
“প্রতিবন্ধীদের কেউ কেউ অকেজো বলে মনে করে। রেস্টুরেন্টে বসে থাকতে দেখে আমাকে ভুল করে ভিক্ষুক ভাবা হয়েছিল। বলা হয়েছিল খাবার নেই। আমি হেসে চলে গিয়েছিলাম – তবে বেশিরভাগ মানুষই দয়ালু,” তিনি বলেছেন।
আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান এই চিকিৎসকের লক্ষ্য
অনেকেই জানতে চেয়েছেন, যে ব্যক্তি তার অবস্থার সুযোগ নিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেননি কেন? ডা. চুয়াংয়ের কথায়, আমি অতীতকে অতীতেই রাখতে চাই।
এই প্রসঙ্গে তার মতামত, সাত বছর যন্ত্রণাময় অধ্যায় হলেও সেটা আমারই জীবনের অংশ।
জীবনের সফর তার চিন্তাধারা বদলে দিয়েছে। তিনি বলেছেন, স্কুলে যেতে পারার পর, আমি অন্যদের মতামত বা তারা কী ভাবছে সে সম্পর্কে চিন্তা করা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। বুঝতে পেরেছিলাম যে এই জিনিসগুলোর কোনো মানে হয় না।
তিনি বলেন, আমি আমার সময় এবং শক্তি পড়াশোনা আর লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজে লাগিয়েছিলাম।
তার কথায়, এগিয়ে যাওয়ার জন্য অনেককেই সংগ্রাম করতে হয়। তার কারণ অন্যদের মতামত বা উপহাসকে ভয় পান তারা।
“কিন্তু আমার কাছে, এটা কিছু নয়। আমি ক্লাস, ওয়ার্কশপ, বা কাজের মাধ্যমে আমার শতশত প্রতিবন্ধী বন্ধুদের সাহায্যার্থে হামাগুড়ি দিয়ে ক্যাম্পাসে বা শহরে ঘুরে বেড়াই।”
“আমার মনে হয় আত্মবিশ্বাসের উপর ভর দিয়েই এটা করি। অন্যদের চেহারা নিয়ে আমি কিছু ভাবি না।”
জনসাধারণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, আমাদের জীবন পাহাড়ের মতো – আমরা এক পাহাড়ে আরোহণ করি আর সামনে থাকে আরো একটা পাহাড়। আমরা ক্রমাগত চেষ্টা করছি আর এগিয়ে যাচ্ছি।
আমি মনে করি একজন মানুষের সবসময় ইতিবাচক, আশাবাদী হওয়া উচিৎ। কখনও নিজের স্বপ্নকে ছাড়া উচিৎ না।
ডা. লি চুয়াংয়ে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের আউটলুকে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।