Dark Mode Light Mode

Keep Up to Date with the Most Important News

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Follow Us
Follow Us
English English

ভারতে বিভিন্ন প্রদেশে বিপর্যয়ের জন্য কী দায়ী? 

ভারতে বিভিন্ন প্রদেশে বিপর্যয়ের জন্য কী দায়ী?  ভারতে বিভিন্ন প্রদেশে বিপর্যয়ের জন্য কী দায়ী? 
ভারতে বিভিন্ন প্রদেশে বিপর্যয়ের জন্য কী দায়ী? 


প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে বিপর্যস্ত পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলা। গত শনিবার রাত থেকে টানা বৃষ্টির জেরে ফুঁসতে থাকে তিস্তা, মহানন্দা ও তোর্সা নদী। গভীর রাতে কোথাও ভূমিধস দেখা দেয় কোথাও পানি প্লাবিত হয়ে ঘরবাড়ি ভেসে যায়। যার ফলে ভিটেহারা হয়েছেন শত শত মানুষ, এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। এ পর্যন্ত কমপক্ষে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

শিলিগুড়ি থেকে মিরিকের পথে দুধিয়ায় বালাসন নদীর উপর লোহার ব্রিজ ভেঙে পড়ে। রাস্তায় ভূমিধসের ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। দুর্গাপুজোর ছুটির আবহে পর্যটনের মরশুমে পাড়ি দিয়েছিলেন বিপুল সংখ্যক পর্যটক। তাদের মধ্যে অনেকেই দুর্যোগকবলিত এলাকায় আটকে পড়েন। 

Advertisement

পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশটির বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী নামানো হয়। স্থানীয় প্রশাসন ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা মিলে উদ্ধারের কাজ শুরু করেন। উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি সাম্প্রতিক সময়ে উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশের বিপর্যয়ের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে।  

হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে মেঘভাঙ্গা বৃষ্টির জেরে নদীর প্রবল স্রোতের সঙ্গে বয়ে আসা বড় বড় পাথর, কাদার স্রোতে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল বহু বাড়ি। মুহূর্তে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল উত্তরাখণ্ড রাজ্যের উত্তরকাশীর ধরালি গ্রামের বিস্তীর্ণ অঞ্চল।

উত্তরবঙ্গর পরিস্থিতির জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ভুটান থেকে ছাড়া পানিকে দায়ী করেছেন। ড্রেজিং না হওয়ায় নদীর নাব্যতা যে কমেছে তাও উল্লেখ করেছেন। তবে পরিবেশবিদদের অনেকেই মনে করেন এই বিপর্যয় ডেকে আনার জন্য বড় অংশে দায়ী মানুষ নিজেই।

পরিবেশবিদ ড. রবি চোপড়া বিবিসিকে বলেন, পরিবেশের বিষয়ে সচেতন নই। যত্নও নিই না। তারই ফল ভুগতে হচ্ছে।

জলসম্পদ ব্যবস্থাপনা, দুর্যোগ প্রশমন এবং পরিবেশ নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করছেন এই ভারতীয় বিশেষজ্ঞ। ড. রবি চোপড়ার সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্ট একটা কমিটি গঠন করেছিল, যার লক্ষ্য ছিল উত্তরাখণ্ডের চারধাম প্রকল্পের পরিবেশগত প্রভাব তদন্ত করে দেখা। 

‘এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি আগে দেখিনি’ 

গত শনিবার রাত থেকে বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং জেলা বেশ বিপর্যস্ত।

স্থানীয় বাসিন্দা সুদীপ সরকার বলেছেন, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ডুয়ার্স এবং পাহড়ের অবস্থা খারাপ। দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পং, মিরিক এবং সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগ প্রভাবিত। মিরিকের সঙ্গে যোগাযোগ একেবারে বিচ্ছিন্ন। বাকি জায়গা খুবই ঘুর পথে যেতে হচ্ছে। 

তবে উত্তরবঙ্গে ভূমিধস এবং বন্যা পরিস্থিতি নতুন নয় বলে জানিয়েছেন বাদল দাশগুপ্ত নামে আরেক স্থানীয় বাসিন্দা।

তিনি বলেছেন, এখানে ভূমিধস বা বন্যা পরিস্থিতি নতুন নয়, কিন্তু এইবারে বিপর্যয়ের কারণ অল্প সময়ে ব্যাপক বৃষ্টি।

উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে আটকে পড়েছেন অনেকেই। তাদেরই একজন বলেছেন, ছেলেবেলা থেকে এখানে বেড়াতে আসছি। বৃষ্টির ফলে ভূমিধস হয়েছে, কোথাও আটকেও পড়েছি কিন্তু নদীর এমন ভয়ঙ্কর রূপ আগে দেখনি।

পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। প্রভাবিতদের জন্য ত্রাণ ও আশ্রয় শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সোমবার থেকে আবহাওয়া একটু ভাল হলেও উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত সাধারণ মানুষ। তাদেরই একজন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত লাইব্রেরিয়ান তনুশ্রী গুপ্ত। তার কথায়, এখানে গত কয়েক বছরে বিপুল পরিমাণে হোটেল, হোমস্টে তৈরি হয়েছে। যথেচ্ছভাবে গাছ কাটার ফলে মাটি ধরে রাখার মতো পরিস্থিতি নেই। তাই যেখানে সেখানে ধস দেখা যায়।

গত কয়েক বছরে পর্যটকদের সংখ্যা বেড়েছে।

তনুশ্রী গুপ্ত বলেছেন, আগে বৃষ্টির সময় পর্যটকরা উত্তরবঙ্গ এড়িয়ে চলত, তাতে পাহাড়ও বাঁচত, আর প্রাণও।

কেন এই পরিস্থিতি

এই বিপর্যয়ের নেপথ্যে একাধিক কারণ রয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। উত্তরবঙ্গের বাসিন্দা এবং বর্ষীয়ান সাংবাদিক গৌতম সরকার বলেছেন, মিরিকে গত পাঁচ বছর ধরে পাহাড় কেটে হোটেল, হোমস্টে ইত্যাদি তৈরি হয়েছে। তার জন্য প্রচুর গাছ কাটা হয়েছে। সেবক-রংপুর রেল লাইন তৈরির জন্যও বিপুল পরিমাণে গাছ কাটা হয়েছিল।

তিনি আরও বলেছেন, এখানে অ্যালুভিয়াল সয়েল বা ঝুরঝুরে মাটি দেখা যায়। তার যেটুকু যা ধরে রাখতে পারে তা গাছই পারে। কিন্তু নির্বিচারে গাছ কাটার ফলে মাটির ধারণ ক্ষমতা কমেছে।

তার উপর এই প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে পরিস্থিতি আরও বিরূপ হয়েছে। 

তিনি বলেন, আবহাওয়াবিদদের মতে বাংলার পাহাড় অঞ্চলের অ্যালুভিয়াল সয়েল ২৪ ঘণ্টায় ১০০মিমি পর্যন্ত বৃষ্টি সহ্য করতে পারে একে থ্রেশহোল্ড লিমিট বলে। কিন্তু পাঁচ ঘণ্টায় তার কয়েকগুণ বেশি বৃষ্টি হয়েছে উত্তরবঙ্গে।

তার মতে, দ্বিতীয় কারণ হলো নদীর উপর বাঁধ দেওয়া, বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি, নদীর ধারে বাড়ি নির্মাণ তৈরি। এর ফলে জল প্রবাহের জায়গা নেই। তাই দুধিয়া, বিজনবাড়িতে ব্রিজ ভেঙ্গেছে। একই ছবি দেখা গিয়েছে সমতলেও। 

এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আরো একটা বিষয় উল্লেখ করেছেন মি. সরকার।

তার কথায়, ১৯৯৩ সালে উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সে বন্যার পর কামাক্ষা প্রসাদের ভৌমিকের নেতৃত্বে কমিটি তৈরি করা হয়। সেখানে বলা হয়েছিল নদী বা জলস্রোত যাওয়ার জায়গা আরো চওড়া করা দরকার, দুটো পিলারের মাঝে দূরত্ব বাড়াতে হবে যাতে জল বইতে পারে।

কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি বলেই জানিয়েছেন এই বর্ষীয়ান সাংবাদিক।

বন্যপ্রাণীও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই বিপর্যয়ে।

 গৌতম সরকার বলেছেন, কোথাও গণ্ডার, বাইসন ভাসতে দেখা গিয়েছে। এদের মধ্যে কিছু নিজেরা বেঁচেছে, কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, কিছু ক্ষেত্রে হয়নি। তোর্সা এবং রায়না নদীর জলে যে পরিমাণ গাছের গুঁড়ি, কাঠ ভেসে এসেছে তা থেকে বোঝা গিয়েছে, এগুলো আসলে ভিতরে কোথাও কেটে রাখাছিল। নদীর জলে তা ভেসে এসেছে। অর্থাৎ, বাইরে থেকে আমরা জঙ্গলকে যতই সুন্দর দেখি ভিতরে আসলে ফাঁকা।

উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জলপাইগুড়ির বাসিন্দা ড. রঞ্জন মিত্র। পরিবেশ রক্ষার্থে একটা সংগঠন তৈরি করেছেন তিনি। সদস্যদের প্রত্যেকেই প্রবীণ নাগরিক। গাছ কাটা, নিয়ম বিরুদ্ধ নির্মাণ রুখতে সচেষ্ট তারা।

ড. মিত্র বলেছেন, গত কয়েক বছরে এখানকার আবহাওয়া অনেকটাই বদলেছে। বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে তাপমাত্রা বেড়েছে। এর কারণ ডিফরেস্টেশন।

“সাধারণ মানুষদের সচেতন করার জন্য আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি। অবৈধ নির্মাণ দেখলেও আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নিই।” 

উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরবঙ্গ

উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশের স্মৃতি উস্কে দিয়েছে। চলতি বছরে মেঘভাঙ্গা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হতে দেখা গিয়েছে হিমাচল এবং উত্তরাখণ্ডকে। অগাস্ট মাসে মেঘভাঙ্গা বৃষ্টির পর অকস্মাৎ বন্যার জেরে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল উত্তরকাশীর ধরালি গ্রামের বিস্তীর্ণ অংশ। নদীর স্রোতের সঙ্গে বয়ে আসা বড় বড় পাথরের ধাক্কায় ধ্বংস হয়েছে ওই গ্রামের বহু বাড়ি। সেই ঘটনার ভিডিও দেখে শিউড়ে উঠেছিলেন অনেকেই।

ড. রবি চোপড়া বলেছেন, হিমালয়কে দেখে প্রকাণ্ড বলে মনে হতে পারে কিন্তু আসলে তা ভঙ্গুর অঞ্চল, ভূমিকম্প প্রবণও। এখানে কোনো রকম নির্মাণ করতে গেলে তা সে রেলওয়ে হোক, সড়ক হোক বা অন্যকিছু খুবই সতর্ক হওয়া দরকার।

“ভূতাত্ত্বিক পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো দরকার। তা না হলে পার্বত্য অঞ্চলকে ওভারলোড করলে তার প্রভাব পড়ে।”

“এই জাতীয় নির্মাণের জন্য গাছ কাটা হয়। এর ফলে ফোকাসড রেনফল হয়, ভুমিক্ষয় বেড়ে যায়। সতর্কতার সঙ্গে কাজ না করলে আমরা বিপদই ডেকে আনব।”

পরিবেশবিদ সৌভিক চোঙদার ব্যাখ্যা করেছেন উত্তরবঙ্গে উত্তরাখণ্ড বা হিমাচল প্রদেশের মতো ক্লাউড বার্স্ট হয়নি কিন্তু বিপর্যয়ের নেপথ্যে যে কারণ সেখানে সামঞ্জস্য আছে। ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ-এর এক্সপার্ট রিভিউয়ার তিনি।

এই বিশেষজ্ঞ বলেছেন, তিন ক্ষেত্রেই প্রভাবিত অঞ্চল লক্ষ্য করলে বোঝা যাবে কীভাবে সেখানে ছোট ছোট হোটেল ইত্যাদি তৈরি হয়েছিল। এটা প্রকৃতির বিরুদ্ধে। নদীর পথে কিছু নির্মাণ করা যাবে না।

তার কথায়, প্রত্যেকটা পাহাড়ের নিজস্ব বয়স আছে, পাহাড়ের নিজস্ব ক্যাপাসিটিও (ক্ষমতা) আছে। উত্তরবঙ্গে নদীর জল প্রবাহিত হওয়ার জায়গা নেই। জল যাওয়ার জায়গা না পেলে বন্যা হওয়া স্বাভাবিক। 

পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন চেরাপুঞ্জি মৌসিনরামে অন্যান্য বছরের তুলনায় কম বৃষ্টি হয়েছে।

তার কথায়, চেরাপুঞ্জি মৌসিনরামে গড়ে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয় তার চেয়ে ২৫% কম বৃষ্টি হয়েছে। সেই রেন সাইকেল চলে গিয়েছে ভারতের পূর্বভাগে এবং বাকিটা হিমালয়ান রিজিয়নে যেখানে ক্লাউড বার্স্ট হয়েছে।

অনেকে আবার পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, তাহলে কী পার্বত্য অঞ্চলে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হবে না? এই প্রশ্নের উত্তরে সৌভিক চোঙদার বলেছেন, নির্মাণের আগে কোনো অঞ্চলে ভূমিধস, ভূমিকম্প বা বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখা দরকার।

অভিযোগ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা হয় না। যার জেরে এই বিপত্তি।

উত্তরবঙ্গে হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের মতো অত ভয়াবহ বিপর্যয় হয়নি বটে কিন্তু সেটা ভবিষ্যতে হবে না তেমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। নির্মাণের জন্য অ্যাপ্রুভাল নেই, তার আগে সার্ভে নেই, পরিবেশে কী প্রভাব পড়তে পারে সে নিয়ে কোনো পরীক্ষা নিরীক্ষা হয় না, বলেছেন গৌতম সরকার।

জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বসতি বাড়ার বিষয়টা মেনে নিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে তাদের মতে পাহাড়ি অঞ্চলের পরিবেশ ও পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই বাড়ি তৈরি উচিৎ। ওই অঞ্চলের ভারী বৃষ্টিপাত এবং ভূমিকম্পের জন্য উপযুক্ত হালকা কাঠামো হওয়া উচিৎ।

কোন অঞ্চল বাড়ি-ঘর তৈরির জন্য উপযুক্ত নয়, তাও মাথায় রাখা দরকার।

ড. রবি চোপড়া বলেছেন, প্রকৃতির বিষয়ে সতর্ক না হলে এমনটাই ঘটবে। আমরা জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করি, কিন্তু আমরাই প্রকৃতির সঙ্গে চলতে পারিনি। 





Source link

Keep Up to Date with the Most Important News

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Add a comment Add a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous Post
একটি গানের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিল সঞ্জয়-মাধুরীর ‘খলনায়ক’

একটি গানের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিল সঞ্জয়-মাধুরীর ‘খলনায়ক’

Next Post
হংকংয়ের বিপক্ষে আশাবাদী শমিত সোম

হংকংয়ের বিপক্ষে আশাবাদী শমিত সোম

Advertisement