
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় কুমার নদে দেশীয় অস্ত্র হাতে কিশোর-তরুণদের মহড়ার ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নদীর চার কিলোমিটারজুড়ে অন্তত ২০টি স্পিডবোট ও অর্ধশতাধিক ট্রলারে মহড়া চালায় তারা। এ সময় কিছু স্পিডবোট থেকে রামদা ও চায়নিজ কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, আট বছর ধরে নৌকাবাইচ না হলেও স্থানীয় তরুণেরা প্রতিবছর ভাদ্র মাসের শেষ দিনে স্পিডবোট ও ট্রলার নিয়ে নদীতে মহড়া দেন। তবে এবারই প্রথম তাদের অস্ত্র হাতে দেখা গেল।
ঘটনার পর রাতে পুলিশ অভিযান চালালেও কাউকে আটক বা শনাক্ত করা যায়নি। অভিযানের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ট্রলারে তল্লাশি চালানোর সময় কিশোর-তরুণেরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ভাঙ্গা বাজারের চা বিক্রেতা নূর শেখ বলেন, *“বিষয়টি দেখার পর থেকে আতঙ্কে আছি। কখন কী ঘটে যায়, বলা মুশকিল।”* ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শ্যামল মৃধাও জানান, প্রকাশ্যে এমন অস্ত্রের মহড়া এর আগে কখনো দেখেননি।
এলাকাবাসীর মতে, শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ একসময় নিয়মিত আয়োজিত হলেও রাজনৈতিক বিরোধের কারণে ২০১৮ সাল থেকে তা বন্ধ হয়ে আছে।
ভাঙ্গা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি জগদীশ মালো জানান, বিশ্বকর্মা পূজার দিনে তরুণেরা স্পিডবোটে নদীতে মহড়া দেয়, তবে অস্ত্র প্রদর্শনের বিষয়টি তাঁর জানা নেই।
ভাঙ্গা থানার ওসি মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন অস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযানে কাউকে আটক করা যায়নি, তবে তল্লাশি অব্যাহত আছে।