
ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখী যাত্রা অব্যাহত রাখা ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নৌবহরের একমাত্র জাহাজ ‘দ্য ম্যারিনেট’ এখনো ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক হয়নি বলে আল-জাজিরার অনলাইন প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
কাতারভিত্তিক এই সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, বহরের বাকি জাহাজগুলো ইতিমধ্যে ইসরায়েলি বাহিনী আটক করেছে। ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকারের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার (৩ অক্টোবর) ভোরের দিকে (৪টার দিকে) পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই জাহাজটি ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় চলছিল, যার গতি ছিল ঘণ্টায় প্রায় ৩.৭৮ নট (প্রায় ৭ কিলোমিটার)। এ সময় জাহাজটি গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে প্রায় ৪৩ নটিক্যাল মাইল (প্রায় ৮০ কিলোমিটার) দূরে অবস্থান করছিল।
‘দ্য ম্যারিনেট’ জাহাজে ছয়জন আরোহী রয়েছেন, যাদের মধ্যে তুরস্কের অধিকারকর্মী সিনান আকিলতু অন্যতম। আজ জাহাজটি থেকে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমরা এখন উচ্চ ঝুঁকির এলাকায় প্রবেশ করেছি। আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা দুটি মহৎ পরিণতির যেকোনো একটির দিকে অগ্রসর হচ্ছি।’
ফ্লোটিলার আয়োজকেরা জানিয়েছেন, নৌবহরের ৪২টি জাহাজকে অবৈধভাবে আটকানো হয়েছে এবং আরোহীদেরও আটক করা হয়েছে, তবুও ম্যারিনেট পিছু হটছে না। ফ্লোটিলা আয়োজকরা ম্যারিনেটকে ‘ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা’র প্রতীক হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন ইঞ্জিনের সমস্যার কথা জানালেও পরে তা ঠিক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আগেই ম্যারিনেটকে সতর্ক করে জানিয়েছে, যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ ও অবরোধ ভাঙার যেকোনো চেষ্টা প্রতিহত করা হবে। তা সত্ত্বেও জাহাজটি গাজা অভিমুখে চলছে।
ফ্লোটিলা আয়োজকেরা আরও জানিয়েছেন, এই মুহূর্তেও ম্যারিনেট জাহাজটি স্টারলিংকের মাধ্যমে সংযুক্ত আছে। তবে জাহাজটির মালিকের বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য কোনো নির্ভরযোগ্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে পাওয়া যায়নি।
সূত্র: আল জাজিরা