Dark Mode Light Mode

Keep Up to Date with the Most Important News

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Follow Us
Follow Us
English English

বৃষ্টির দিনেই খিচুড়ি খাওয়ার কারণ কী

বৃষ্টির দিনেই খিচুড়ি খাওয়ার কারণ কী বৃষ্টির দিনেই খিচুড়ি খাওয়ার কারণ কী
বৃষ্টির দিনেই খিচুড়ি খাওয়ার কারণ কী


বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খেতে কমবেশি সবাই ভালোবাসেন। চাল-ডালে ফুটিয়ে খিচুড়ি সহজেই রান্না করা যায়। আর তাই বৃষ্টি দেখলেই হাঁড়িতে যে কেউই বসিয়ে দিন খিচুড়ি। এটি একই সঙ্গে যেমন পেট ভরায়, তেমনই সুস্বাদুও। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন কি— বৃষ্টির দিনেই কেন খিচুড়ি খাওয়া হয়? কোথা থেকে এল এই নিয়ম? চলুন জেনে নেওয়া যাক সে গল্প। 

শোনা যায়, ১২০০-১৮০০ সালের মধ্যবর্তী কোনও এক সময়ে বাংলায় খিচুড়ির আবির্ভাব। মনসামঙ্গল কাব্যে স্বয়ং শিব যে খাবারটির আবদার পার্বতীর কাছে করেছিলেন, তা হল খিচুড়ি। এটিকে ‘গরিবের আমিষ’ বলা হলেও প্রথমদিকে ডাল ছিল উচ্চশ্রেণীর খাদ্য। জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে নাকি জনপ্রিয় ছিল এই পদ। 

Advertisement



তবে জনপ্রিয় ধারণা হল, খিচুড়ি খাওয়া শুরু নাকি বাউলদের হাতে। এটি নাকি প্রধানত ছিল তাদের খাবার। এই ছন্নছাড়া মানুষ পথে-ঘাটে গান করতেন, আর দক্ষিণা হিসাবে পেতেন চাল-ডাল। তারা চাল ডাল একত্রে মিলিয়ে খুব দ্রুত ও ঝামেলা বিহীনভাবে রেঁধে ফেলতেন এবং খেতেন। পরে এই খাবারের নাম হয় খিচুড়ি। কিন্তু এটি ছিল তাদের রোজকার খাবার। 

তবে ইতিহাসের নানা পর্যায়ে আলাদা আলাদা করে খিচুড়ির উল্লেখ আছে। যেমন, সেলুকাস উল্লেখ করেছেন, ভারতীয় উপমহাদেশে চাল-ডাল মেশানো পদের কথা। আল বেরুনিও খিচুড়ির প্রসঙ্গ তুলেছেন তার লেখায়। মরক্কোর পর্যটক ইবন বতুতা খিচুড়ি বানানোর ক্ষেত্রে মুগডালের কথাও বলেছেন। চাণক্যের লেখায় চন্দ্রগুপ্তের সময়কালে এর উল্লেখ মেলে। 



মোঘল আমলের আকবরের মন্ত্রী আবুল ফজল তার আইন-ই-আকবরীতে নানা ধরনের খিচুড়ি তৈরির কথা বলেছেন। শোনা যায়, খিচুড়ির প্রতি ভালোবাসা ছিল জাহাঙ্গিরেরও। তাতে পেস্তা ও কিসমিসও নাকি মেশানো হত। আর তার নাম রাখা হয়েছিল ‘লাজিজাঁ’। শোনা যায়, ভিক্টোরিয়ান যুগে খিচুড়ি নাকি ইংল্যান্ডের হেঁসেলেও ঢুকে পড়েছিল। 

বর্ষার দিনে খিচুড়ি খাওয়ার সঙ্গে নাকি রয়েছে অন্য কাহিনি। গ্রামাঞ্চলে বর্ষার সময় চারপাশ জলে ভরে যেত। জল-কাদা পেড়িয়ে দূরের বাজারে যাওয়া ছিল কষ্টকর। বাজার যেহেতু করা সম্ভব হত না, তাই ঘরে থাকা উপাদান দিয়েই, মানে চাল আর ডাল দিয়েই সহজে কিছু রেঁধে ফেলতেন গৃহিণীরা। 



এর উপর বৃষ্টির কারণে উনুনে বার বার আগুন ধরানোও ছিল কষ্টকর। তাই একবার আগুন জ্বালিয়ে চাল-ডালের খিচুড়িই রান্না করতেন তারা। পরে ধীরে ধীরে এই খিচুড়িই হয়ে ওঠে অনেকের পছন্দের খাবার। তার সঙ্গে মেশানো শুরু হয় অন্যান্য জিনিস। তবে এর পিছনে অন্য একটি বৈজ্ঞানিক কারণ আছে বলেও মনে করেন অনেকে। 

খিচুড়ি একটি গুরুপাক খাবার। এই খাবার খেলে হজমের নানা সমস্যা হতে পারে। এর সঙ্গে ভাজাভুজি খেলে তো কথাই নেই! তাই এই খাবার গরমে খাওয়া সমস্যার হতে পারে। তাই বৃষ্টিতে ঠান্ডা আবহাওয়ায় খিচুড়ি খাওয়ার চল হয়েছে বলে মনে করেন অনেকে। একই কারণে শীতেও এটি খাওয়া হয় বলে মনে করা হয়। 

 





Source link

Keep Up to Date with the Most Important News

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Add a comment Add a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous Post
‘মুনিরের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক নিয়ে ভারতের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিৎ’

‘মুনিরের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক নিয়ে ভারতের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিৎ’

Next Post
তৃতীয় দিনের মতো ডেঙ্গুতে মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি আরও ৩৫৮

তৃতীয় দিনের মতো ডেঙ্গুতে মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি আরও ৩৫৮

Advertisement