
আসন্ন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনকে ঘিরে স্বেচ্ছাচারিতা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালসহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেট সংগঠক এবং কাউন্সিলর। অভিযোগের তীর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়াঁ, বিসিবির বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব, মন্ত্রী পরিষদ সচিব ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালকের দিকে।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন ডেকে এ সব অভিযোগ তুলে ধরেন তামিমসহ অন্যান্য ক্রিকেট সংগঠকরা।
অভিযোগের সারসংক্ষেপ: সাংগঠনিক ক্ষমতা ব্যবহার করে বিসিবি সভাপতি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এবং সংশ্লিষ্ট উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিরা এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক জেলা ও বিভাগে নিজেদের পছন্দমতো কাউন্সিলর মনোনীত করতে চান। মন্ত্রণালয়, ক্রীড়া পরিষদ ও বিসিবির পক্ষ থেকে জেলা ও বিভাগীয় ক্রিকেটের সংশ্লিষ্টদের চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে তামিম বলেন, ‘বিসিবির সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। এখানে সরকারি হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই কাম্য নয়। নির্বাচনের আগে কাউন্সিলরশিপ নিয়ে পরিবর্তন মেনে নেওয়া হবে না।’
ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের হয়ে বিসিবির কাউন্সিলর পদ পাওয়া বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন বলেন, ‘বিসিবি নির্বাচনে সরকারি হস্তক্ষেপ হলে তা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে।’
আগামী ৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন। এরই মধ্যে গঠিত হয়েছে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন। যেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন। এছাড়া, কমিশনে আছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপি সিবগাত উল্লাহ এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক (যুগ্ম সচিব)।