
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন ঘিরে আনুষ্ঠানিক কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে নির্ধারিত হয়েছে ভোটগ্রহণের দিন-আগামী ৪ অক্টোবর। ইতিমধ্যে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নিয়েছে এবং এ মাসের ২০ তারিখ থেকে শুরু হবে নির্বাচনি কার্যক্রম। মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমাদানের সময়সূচি শিগগিরই চূড়ান্ত হবে।
খসড়া সূচি অনুযায়ী ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, ২৫ তারিখ জমাদান এবং ২৬ তারিখ যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বোর্ডের সংবিধান অনুযায়ী ১৭১ জন কাউন্সিলরের ভোটেই নির্ধারিত হবে পরিচালনা পর্ষদ। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন ক্লাব থেকে আসা ৭৬ জন কাউন্সিলর যে কোনো নির্বাচনে বড় প্রভাবক।
২৫ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ গঠনে ১২ জন আসবেন ক্লাব ক্রিকেট থেকে, আর বিভাগীয় ও আঞ্চলিক পর্যায় থেকে থাকবেন ১০ জন প্রতিনিধি, ২ জন এনএসসি থেকে থাকবেন এবং ১ জন অন্যান্য ক্যাটাগরি থেকে নির্বাচিত হন। এরপর নির্বাচিত পরিচালকরা ভোটের মাধ্যমে বেছে নেবেন নতুন সভাপতি।
এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি নজর থাকবে সভাপতি পদে। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও বর্তমান বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। দুজনকেই হেভিওয়েট প্রার্থী ধরা হচ্ছে। তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে পারেন সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদও। ফলে শীর্ষপদ নিয়ে তৈরি হতে পারে ত্রিমুখী লড়াই।
পরিচালক পদেও নতুন মুখ যুক্ত হচ্ছেন এবার। ক্রিকেট অঙ্গনের পরিচিত কয়েকজন ব্যক্তিত্ব প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সেই সঙ্গে ই-ব্যালট ও পোস্টাল ভোটের ব্যবস্থা থাকায় প্রবাসী বা উপস্থিত হতে না পারা কাউন্সিলরদের অংশগ্রহণের সুযোগ বাড়বে। সব মিলিয়ে এবারের বিসিবি নির্বাচন কেবল আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং ক্রিকেট প্রশাসনে নতুন সমীকরণ গড়ার বড় মঞ্চ হয়ে উঠতে পারে। সভাপতি পদে হেভিওয়েটদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেমন আলোচনায়, তেমনি পরিচালনা পর্ষদেও নতুন নেতৃত্ব উঠে আসতে পারে; যা ভবিষ্যতের ক্রিকেট নীতিনির্ধারণে বড় প্রভাব ফেলবে।