
২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হওয়া এশিয়া কাপ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে তানজিদ হাসান তামিমের। সময় যত গড়িয়েছে, সাদা বলের ক্রিকেটে নিজেকে আরও পরিণত করেছেন তানজিদ। এবার দরজায় কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আগামী ফেব্রুয়ারিতে ভারত ও শ্রীলঙ্কার মাটিতে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের এই বিশ্ব আসর।
বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের আর কোনো ম্যাচ নেই। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয় দিয়ে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সেরেছে লিটন দাসের দল। আসন্ন বিপিএলে নিজেদের শেষবারের মতো ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবে ক্রিকেটাররা। তার আগে হোম অব ক্রিকেটে ব্যাটারদের নিয়ে বিশেষ ক্যাম্প আয়োজন করেছে বিসিবি। লক্ষ্য ব্যাটাররা যেন নিজেদের দুর্বলতা নিয়ে কাজ করতে পারে।
সেখানে শীর্ষদের তালিম দিচ্ছিল জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ আশরাফুল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডে বড় কোনো পরিবর্তন আসছে না। গেল কয়েকটি সিরিজে নিয়মিত যারা খেলছেন, তাদের নিয়ে ভারতে উড়াল দিবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
২০২৫ সালটা দুর্দান্ত কাটিয়েছেন টাইগার ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। সবশেষ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের সবশেষ ম্যাচে খেলেছেন অপরাজিত ৫৫ রানের ইংনিস। ২০২৫ সালে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও এই ওপেনার। ৩১টি ম্যাচ খেলে তামিমের ব্যাট থেকে আসে ৭২০ রান। এছাড়াও ২০২৫ সালে টাইগার ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ছক্কাও হাঁকিয়েছেন তিনি। তার ছক্কার সংখ্যা ৪১টি। বিশ্বকাপে ভালো পারফরম্যান্সের প্রত্যাশা তানজিদের। সেইসঙ্গে ধারাবাহিকতাও ধরে রাখতে চান এই ওপেনার।
এই বিষয়ে গতকাল তিনি বলেন, ‘এটা আমার কাছে সত্যি অনেক খারাপ লাগে, যেরকম সিরিজগুলোতে আমি শেষ কয়েকটা সিরিজ যেরকম ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করছি, তো আমার চেষ্টা থাকবে যাতে এই ধারাবাহিকতাটা যাতে আইসিসি ইভেন্টে ধরে রাখতে পারি। আইসিসি ইভেন্ট যেটা বললেন যে আমি এর আগেও বলেছি যে আমি সফল নই। আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারিনি আইসিসি ইভেন্টে, তারপরে এশিয়া কাপে আমি সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারিনি।’
এছাড়াও মিরপুরে চলমান ক্যাম্প নিয়ে তানজিদ তামিম বলেন, ‘খুব ভালো যাচ্ছে (ক্যাম্প)। কারণ বিপিএল-এর পরে আমরা ততটা সময় পাব না। এমন স্পেসিফিক ব্যাটিং ক্যাম্প খুব কমই হয়, যেটা খুবই ইতিবাচক। আমরা শেষ কয়েকটি সিরিজে নিজেদের কী অতিরিক্ত দক্ষতার ঘাটতি ছিল এবং সেখান থেকে কী উন্নতি করতে পারি, সেই বিষয়ে কাজ করছি। সামনে বিশ্বকাপ বা কোনো বড় ইভেন্টে আমাদের নিয়ে প্রতিপক্ষ কী গেম প্ল্যান করতে পারে বা কোনো নির্দিষ্ট গ্যাপে বোলার কী পরিকল্পনা করতে পারে, সেই জিনিসগুলো নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। কোচেরা খুব স্পেসিফিকভাবে একটি বিষয়ে বারবার ফোকাস করছেন, পাওয়ার প্লেতে কীভাবে খেলা হবে এবং কীভাবে গ্যাপ বের করা হবে।’