
ভারতের মহারাষ্ট্রে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার নাম করে ডেকে নিয়ে ২৬ বছরের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে মেয়ের পরিবার। এ ঘটনায় পুলিশ মেয়ের বাবাসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। আরও দুজন অভিযুক্ত পলাতক রয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত যুবকের নাম রমেশ্বর ঘেংগাট। গত ২২ জুলাই পুনের কাছাকাছি পিম্পরি চিনচওয়াডের সাংভি এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
সাংভি থানার সিনিয়র পুলিশ পরিদর্শক জিতেন্দ্র কোলি জানান, মেয়ের বাবা প্রশান্ত সারসহ মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে রমেশ্বরকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে।
পুলিশ জানায়, রমেশ্বর তার এক আত্মীয় তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িত ছিলেন। তবে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ একাধিক মামলা ছিল, যার মধ্যে শিশু সুরক্ষা আইন (পকসো) অনুযায়ীও মামলা রয়েছে। এসব কারণে মেয়ের পরিবার তাদের বিয়েতে রাজি হয়নি।
তবুও বিয়ের ব্যাপারে রমেশ্বর অনড় থাকায় মেয়ের পরিবার আলোচনার কথা বলে তাকে ডেকে নেয়। ওই সময় রমেশ্বর বাবা-মাকে নিয়েও সেখানে যান। এসময় দুই পরিবারের মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হলে মেয়ের পরিবার রমেশ্বরকে আলাদা একটি ঘরে নিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকরা চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারেননি।
ঘটনার পর নিহতের পরিবারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা রুজু করেছে এবং তদন্ত শুরু করেছে।