
আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভার নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে ভোটের আর মাস চারেক বাকি। তার আগে রাজ্যের রাজনীতিতে দলবদলের পালা! এবার বিজেপি ছেড়ে ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন অভিনেত্রী পার্নো মিত্র।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পরেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যটির বরাহনগর কেন্দ্রে প্রার্থীও হন। তবে তৃণমূলের প্রার্থী তাপস রায়ের কাছে হেরে যান। পরবর্তীতে তাপস রায় বিজেপিতে যোগ দেন। পরে সেখানে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তৃণমূলের প্রার্থী হন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা ব্যানার্জি এবং বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন।
বিজেপির সেই পার্নো মিত্রই এবার পদ্মফুল ছেড়ে ঘাসফুলে যোগ দিলেন।
পার্নোর অভিনয়জীবন শুরু ২০০৭ সালে। ছোট পর্দায় রবি ওঝার ‘খেলা’ ধারাবাহিক দিয়ে শুরু। বড় পর্দায় তাঁকে নিয়ে আসেন অঞ্জন দত্ত। ‘রঞ্জনা আমি আর আসব না’ ছবির নায়িকা তিনি।
অভিনেত্রীর ঝুলিতে আছে ‘বেডরুম’, ‘মাছ মিষ্টি অ্যান্ড মোর’, ‘রাজকাহিনী’, ‘আলিনগরের গোলকধাঁধা’, ‘অপুর পাঁচালি’, ‘অঙ্ক কী কঠিন’ ইত্যাদি ছবি।
২০১৯ সালে বিজেপিতে যোগ দেন পার্নো। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বরাহনগর নির্বাচনী কেন্দ্র থেকে তাকে প্রার্থী করা হয়েছিল।ওই বছরে বিজেপি বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেছিল পায়েল সরকার, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, তনুশ্রী চক্রবর্তীর মতো একাধিক তারকাকে। ওই নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী তাপস রায়ের কাছে পরাজিত হন পার্নো।
শুক্রবার কলকাতার তৃণমূল ভবনে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও দলের সিনিয়র নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের উপস্থিতিতে রাজ্যের শাসকদলে যোগ দেন পার্নো। পার্নোর হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা।
তৃণমূলে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির প্রশংসা করেন পার্নো। এ সময় তিনি বলেন, আমার নতুন পথচলা শুরু হলো।
বিজেপিতে যোগ দেওয়া ভুল ছিল বলে স্বীকার করেন অভিনেত্রী। তার কথায়, বিজেপিতে যোগদান করা আমার ভুল ছিল। এখন সেই ভুল শুধরে নেওয়ার সময় এসেছে। মমতা ব্যানার্জি নেতৃত্বে আমি তৃণমূলে যোগদান করেছি, এটা আমার কাছে বড় ব্যাপার। ছয় বছর আগে বিজেপিতে যোগদান করেছিলাম, কিন্তু আমি সাফল্য পাইনি।