
রড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম দেশের ফুটবল উন্নয়নে অবদান রাখতে চায়। তারা মনে করে, তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করলে দেশের ফুটবলের উন্নয়ন হবে। বিএসআরএম দেশের ফুটবলের অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট পার্টনার হয়েছে। ফুটবলের পাশে থাকতে আগামী ১০ বছরের জন্য বাফুফের সঙ্গে চুক্তি করেছে বিএসআরএম। সবকিছু আগেই ঠিকঠাক ছিল, গতকাল দুপুরে বাফুফে ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। দুই পক্ষ চুক্তি স্বাক্ষর করে। ১০ বছরের মধ্যে প্রথম পর্বে ৫ বছর চুক্তি হবে। পরের ৫ বছর আলোচনা করে চুক্তি বৃদ্ধি পাবে।
প্রতি বছর বাফুফে তাদের পরিকল্পনা দেবে, সেটি বিএসআরএম প্রতিষ্ঠান খতিয়ে দেখবে, তাদের কোনো পর্যবেক্ষণ থাকলে সেটি সংযুক্ত করতে পারবে। বাফুফে জানিয়েছে, ২০২৬ সালের জন্য একটি পরিকল্পনা দেওয়া হয়েছে। প্রথম পর্বে সেটি নিয়ে কাজ করবে বাফুফে। তবে বিএসআরএম-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমের আলী হুসাইন জানিয়েছেন, তিনি দেশের ফুটবলের উন্নয়ন দেখতে চান।
তিনি বলেন, ‘আমরা রড উৎপাদনকারী এক নম্বর প্রতিষ্ঠান, ফুটবলও দেশের এক নম্বর খেলা। একদিন আমরা বিশ্বকাপ ফুটবলে বাংলাদেশকে দেখতে চাই। ফুটবল হতে হবে সারা দেশে।’ ঢাকা কেন্দ্রিক ফুটবল দেশের উন্নয়ন হবে না বলে মনে করেন আমের আলী। তিনি বললেন, ‘শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশে ফুটবল হোক। সারা দেশে ফুটবল ট্যালেন্ট ছড়িয়ে আছে, তুলে আনতে হবে। ফুটবলে প্রচুর প্রতিভা রয়েছে।’
অনুষ্ঠানে দুই পক্ষের প্রায় ২৫ জন ছিলেন। চুক্তি স্বাক্ষরের পর সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন উত্তর পর্ব থাকে, এটাই সাধারণ রীতি। কিন্তু বাফুফের সভাপতি তাবিথ আউয়াল চুক্তি স্বাক্ষরের পর বিএসআরএম-এর কর্তাদেরকে নিয়ে বেরিয়ে যান। কথা বলেননি সংবাদ সম্মেলনে। ফলে পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সাংবাদিকরাও কিছু জানতে পারেননি, তারাও কিছু বলার সুযোগ পাননি। সবাই চলে যাওয়ার পর পুরো মঞ্চে এক জনই ছিলেন, সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম। তিনি জানালেন, পুরুষ-মহিলা ফুটবল, লিগ ইয়ুথ লেভেলে কাজ করবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিএসআরএম কে আগামী বছরের বাফুফের কর্মকাণ্ডের তালিকা দিয়েছি। সেই তালিকা থেকে তারা পছন্দ করবেন কোনটার সঙ্গে কোনটা থাকবে। তারাও পছন্দ করবে, আমাদেরও প্রাধান্য থাকবে।’ কত টাকার চুক্তি, সেটিও অন্যান্য বারের মতো এড়িয়ে গেছে বাফুফে। অন্য একটি সূত্রের দাবি প্রতি বছর দুই কোটি টাকা দিবে বিএসআরএম। পাঁচ বছর পর নতুন করে আলোচনা হবে এবং অর্থের পরিমাণ বাড়তে পারে।