
ইসরাইলি নৌবাহিনীর বাধা সত্ত্বেও গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার বেশ কয়েকটি জাহাজ তাদের যাত্রা অব্যাহত রেখেছে। খবর রয়টার্সের।
ফ্লোটিলার পেছনের দিকের একটি জাহাজে অবস্থান করা লুয়াই চারনি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা এক ভিডিওতে বলেছেন, আমরা নৌবহরের পেছনে আছি এবং গাজার দিকে অগ্রসর হচ্ছি। এখন পর্যন্ত কেউ আমাদের আটকায়নি।
এর আগে ফ্লোটিলার অপর এক জাহাজে অবস্থান করা ইতালিয়ান সাংবাদিক লরেঞ্জো ডি’আগোস্টিনো জানান, , এখন পর্যন্ত ত্রাণবাহী অন্তত দুটি জাহাজ আটকে দিয়েছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী।
ডি’আগোস্টিনো বলেন, আলমার থেকে আমরা আর কোনো সিগন্যাল পাচ্ছি না। সিরিয়াস আটক হয়েছে—নিজ চোখে দেখেছি। ক্যাপ্টেন নিকোস আটক হয়েছেন—চ্যাটে দেখেছি। ফ্লোটিলার বাকি জাহাজগুলো এগিয়ে যাচ্ছে।
ইসরাইলি নৌবাহিনীর আগ্রাসী আচরণের মুখে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা তাদের জাহাজগুলোতে জরুরি অবস্থা জারি করে। ফ্লোটিলার আয়োজকরা জানান, গাজার উদ্দেশে যাত্রা করা তাদের জাহাজগুলোকে ইসরাইলি নৌবাহিনী ঘিরে ফেলার সময় অধিকাংশ জাহাজ থেকে সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নামের এই নৌবহরে ৪৫টি বেসামরিক নৌকা ও জাহাজ রয়েছে। এসব নৌযানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫০০ জন নাগরিক রয়েছে। তাদের মধ্যে সংসদ সদস্য, আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মী এবং সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও রয়েছেন।