
বাংলাদেশ ফ্যাশন জগতের রঙিন আলোয় আরও একটি তারার সংযোজন। ঝলমলে ইভেন্টে ইমা মঞ্চে হাঁটতেই শুরু হয় ক্যামেরার ফ্ল্যাশের বৃষ্টি। তার স্টাইল, আত্মবিশ্বাস আর র্যাম্পে অসাধারণ উপস্থিতি সহজেই বিচারকদের মন কাড়েন। এবছর বাংলাদেশ ফ্যাশন রানওয়ে উইক সম্মাননা জিতে নিয়েছেন জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী সাদিয়া ইমা।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ঢাকার একটি তারকার হোটেলে এক জমকালো আয়োজনে এই সম্মাননা দেয়া হয়।
ইভেন্টে দেশের নামী-দামি ডিজাইনারদের নতুন কালেকশন প্রদর্শিত হয়। র্যাম্পে গ্ল্যামার আর সৃজনশীলতার যে ঝড় বইল, মঞ্চে সবার মন কেড়ে ছিলেন সাদিয়া ইমা। উপস্থিত দর্শকরাও তাকে বাহবা দিতে কুণ্ঠা করেননি। শো শেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভক্তদের শুভেচ্ছার বন্যা। অনেকে লিখেছেন, “ইমা মানেই ক্লাস ও এলিগেন্সের মিশেল!”এই ফ্যাশন উইক পরিচালনা করেন সুমন হোসেন, এবং কোরিওগ্রাফার ছিলেন জনপ্রিয় মডেল সৈয়দ রুমা।
পুরস্কার হাতে পেয়ে ইমা জানান, “ফ্যাশন আমার ভালোবাসা। এই স্বীকৃতি আমাকে আরও সামনে এগিয়ে যেতে শক্তি জোগাবে।” এইটা আমার প্রথম অ্যাওয়ার্ড। ভবিষ্যতে যেন আরো অনেক ভাল ভাল কাজ উপহার দিয়ে আরও অ্যাওয়ার্ড জয় করতে পারি সবাই আমার জন্য অনেক দোয়া করবেন।
মিডিয়াতে পথচলা শুরুটা কেমন ছিল এমন প্রশ্নে ইমা জানান, মিডিয়া আমার অনেক ভালবাসার জায়গা। সেই ভালোবাসা আর অনুভুতি থেকে কাজ শুরু করা। তাছাড়াও তিনি জানান, নিজেই ব্যাক্তিগত ভাবে ইউটিউবের জন্য কন্টেন্ট ও বানান, তাকে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ও বলা যায়। স্কিন কেয়ার, ফুড ব্লগিং ও ট্রাভেল ব্লগিং নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত কাজ করছেন তিনি। তার এই ইউটিউবিং করা অনেকটা শখের বসেই। কিন্তু তিনি পেশাগতভাবে একজন চাকুরিজীবি, পাশাপাশি একজন উদোক্তাও হতে চান, খুব শীঘ্রই নতুন আইডিয়া নিয়ে ব্যবসা শুরু করবেন বলে জানান ইমা।
মিডিয়াতে কাজের ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে ইমা আরও জানান, ছোট পর্দা হোক কিংবা বড় পর্দা ভাল গল্প এবং মানসম্পন্ন কাজের যদি সুযোগ পেলে তিনি অবশ্যই তার অভিনয়ের দক্ষতা প্রমাণ করতে চান। এই পুরস্কারের পর সাদিয়া ইমা কোন নতুন চমক নিয়ে ফিরবেন দর্শকদের সামনে সেটাই এখন সবার অপেক্ষার পালা।
উল্লেখ্য ২০১৪ সালে টিভিসির কাজ দিয়ে মিডিয়াতে পথ চলা শুরু এই মডেল ও অভিনেত্রীর। তারপর সে ফ্যাশন ইন্ড্রাস্টিতেও কাজ শুরু করেন। নাগরিক নাট্যাঙ্গন থিয়েটারে তার অভিনয়ের দক্ষতার হাতেখড়ি। ড. এনামুক হককে সম্মান ও হৃদি হক তার পছন্দ ব্যাক্তি। ফ্যাশন ইন্ড্রাস্টিতে কাজ করার জন্য সে কোরিয়গ্রাফার সানজিদা হক লুনার কাছে গ্রুমিং শিখেছিলেন। ২০১৬ সালে আহসান সারোয়ারের পরিচালনায় রংঢং সিনেমা দিয়ে তার বড়পর্দায় অভিষেক হয়।