
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নতুন পরিচালক আসিফ আকবর মাঠ সংকট নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। দায়িত্ব পালন করেছেন বয়সভিত্তিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট কমিটির। দেশের বিভিন্ন জেলা ঘুরে স্থানীয় ক্রিকেটের নাড়ি-নক্ষত্র দেখে আসছেন। তার দাবি, জেলা পর্যায়ের ক্রিকেটাররা মাঠ না পাওয়ার বড় কারণ ফুটবলের দখলদারিত্ব।
দেশের ক্রিকেটের বেহাল দশা থেকে মুক্তি পেতে ক্রিকেট কনফারেন্স আয়োজন করেছে বিসিবি। গতকাল প্রথম দিনে কনফারেন্সের কথা বলেছেন আসিফ আকবর। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, জেলা পর্যায়ে ক্রিকেটাররা খেলার জন্য মাঠ পায় না। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করে দেশের যতগুলো মাঠ আছে, সবগুলো প্রায় ফুটবলের দখলে, যা ক্রিকেটের জন্য হুমকিস্বরূপ মনে করছেন এই পরিচালক।
দেশে খেলার মাঠের সংকট বেশ পুরোনো। বাফুফেও মাঠ সংকটে ভুগছে। আসিফের কথায় অন্য সুর। তার মতে, ফুটবলের জন্য মাঠ পান না তারা। ফুটবলাররা ইচ্ছে করেই উইকেট নষ্ট করে। এছাড়াও ফুটবলারদের ব্যবহার খুব খারাপ বলে আখ্যায়িত করেছেন আসিফ। এমন কথা শুনে মুচকি হেসে হাততালি দেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। অথচ গোটা বিশ্বে ফুটবলের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বি। আবেগ থেকে অর্থ, কিংবা বাণিজিক এবং রাজনীতি সবকিছুতে ক্রিকেটের চেয়ে ঢের এগিয়ে ফুটবল।
আসিফ বলেন, ‘আমি সরাসরি বলতে চাই, ক্রিকেট আভিজ্যেতের খেলা। এখানে অনেক নিয়মকানুন আছে। ফুটবলে থ্রো একজনের গায়ে লাগলে একজন মিথ্যা কথা বলে, আমার থ্রো। শুরুটাই খারাপ।’ এই বিষয়ে বোর্ডকর্তাদের বাফুফের সঙ্গে বসার আহ্বান জানিয়েছেন আসিফ। তিনি বলেন, ‘আমরা তো মারামারি করতে যাবো না। তবে প্রয়োজনে করবো। কারণ হচ্ছে, আমাদের খেলতে হবে। আমাদের বাচ্চাদের খেলতে হবে। আমাদের অনেক টুর্নামেন্ট সামনে আছে। ফুটবলের সঙ্গে আমাদের একটা হেস্তনেস্ত করতে হবে।’
আগামী ১২ তারিখ থেকে কুমিল্লায় জেলা ক্রিকেট শুরু হবে। এর মধ্যে লিগের খেলায় ২৪ তারিখ কুমিল্লায় আবাহনী-মোহামেডান মাঠে নামবে। গেল প্রায় চার বছর ধরে কুমিল্লাকে হোম ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করে আসছে মোহামেডান।
নিজের এলাকা কুমিল্লা নিয়ে আসিফ বলেন, কুমিল্লায় ফুটবলের জন্য খেলা যাচ্ছে না। যদি ফুটবল মারপিট করে, আমিও মারপিট করবো। যে যেমন, তার সঙ্গে তেমন করতে হবে। যদিও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন চান। তিনি বলেন, ‘বছরে ফুটবল কতদিন হবে এবং ক্রিকেট কতদিন হবে। কতদিন বাকি খেলাগুলো হবে, তার সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করার সময় চলে এসেছে।’