
গোপালগঞ্জে অক্টোবর মাসে কুকুর নিধনের অভিযোগ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর দীর্ঘ সময় ধরে কোনো তদন্ত না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন দুই বাংলার পরিচিত অভিনেত্রী জয়া আহসান। অবশেষে সরকারের পক্ষ থেকে ঘটনাটি খতিয়ে দেখা, কুকুর নিধন বন্ধে প্রজ্ঞাপন জারি এবং মানবিক ব্যবস্থাপনায় কঠোর নির্দেশনা দেওয়ায় স্বস্তি জানিয়েছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে একটি গণমাধ্যমকে জয়া বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায়ই প্রাণী হত্যার ঘটনা ঘটে। এ পরিস্থিতিতে প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার কাছে অনুরোধ করা হয়েছিল, প্রাণী সুরক্ষা ও হত্যার তদন্ত-সংক্রান্ত একটি আনুষ্ঠানিক সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করার জন্য— বিশেষ করে কুকুর নিধন রোধে।
অবশেষে সেই প্রজ্ঞাপন জারি হওয়াকে তিনি অত্যন্ত ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। জয়া বলেন, ‘এই চিঠিটি সত্যিই খুব প্রয়োজন ছিল। ইতোমধ্যে এটি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে—এটা আমাদের জন্য বড় খবর।’

জয়া জানান, সরকার দুটি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। একটিতে কুকুর নিধনের ওপর সরাসরি নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এবং মানবিক উপায়ে কুকুর ব্যবস্থাপনা কঠোরভাবে অনুসরণের নির্দেশ রয়েছে। এ নির্দেশনা দেশের সব সিটি করপোরেশনের মেয়র, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পৌর মেয়র এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
আরেকটি প্রজ্ঞাপন গোপালগঞ্জের কুকুর নিধন-সংক্রান্ত ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো নিয়ে। জয়ার মতে, আগে এসব ঘটনায় সচরাচর তদন্ত বা বিচার হয়নি। কিন্তু নতুন নির্দেশনার ফলে জেলা প্রশাসক বাধ্য থাকবেন তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে। ফলে আইনগত কাঠামোর মাধ্যমে প্রাণীর অধিকার সুরক্ষা সহজতর হবে।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নানা প্রাণিকল্যাণ সংগঠন এসব বিষয়ে কাজ করছে, কিন্তু সবসময় কাঙ্ক্ষিত ফল মিলত না। সরকারের আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ এখন এসব সংগঠন এবং স্থানীয় প্রশাসনের কাজকে আরও সমন্বিত করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। জয়ার মতে, প্রাণী সুরক্ষায় যৌথভাবে কাজ করাটা এখন আরও সহজ হবে।