
গাজায় মানবিক সাহায্য বহনকারী ফ্লোটিলার যাত্রা নিয়ে একটি আবেগঘন ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক মিজানুর রহমান আজহারী।
স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘প্রভু হে! একটি জলযান হলেও, তুমি সৈকতে ভিড়তে দাও। অভুক্ত ভাই-বোনেরা অধীর আগ্রহে তাদের অপেক্ষা করছে।’
এই আবেগঘন দোয়া গাজায় চলমান মানবিক সংকটের প্রেক্ষাপটে লেখা হয়েছে। দীর্ঘদিনের ইসরায়েলি অবরোধে গাজায় খাদ্য, ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন ও মানবাধিকারকর্মীদের নিয়ে গঠিত ‘সুমুদ ফ্লোটিলা’ মানবিক সহায়তা নিয়ে সাগরপথে গাজার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।
আজহারীর এই স্ট্যাটাস মূলত সেই ফ্লোটিলার নিরাপদ যাত্রা ও গাজায় সফলভাবে পৌঁছানোর জন্য এক হৃদয়গ্রাহী প্রার্থনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার পোস্টটি ব্যাপক সাড়া ফেলতে শুরু করেছে। শত শত লাইক, কমেন্ট ও শেয়ারের মাধ্যমে নেটিজেনরা ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিচ্ছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের ফ্লোটিলা কেবল সাহায্যের মাধ্যম নয়; বরং মানবতার বার্তা ও অবরুদ্ধ জনগণের প্রতি আন্তর্জাতিক সংহতির প্রতীক।
উল্লেখ্য, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার প্রথম বহর ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করে। এরপর ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর তিউনিসিয়া ও ইতালির সিসিলি দ্বীপ থেকে আরও নৌযান এই বহরে যুক্ত হয়। এ ছাড়া গ্রিসের সাইরাস দ্বীপ থেকে পরবর্তী সময়ে আরও কিছু নৌযান ত্রাণ নিয়ে বহরে যুক্ত হয়। গাজার অবরোধ ভেঙে মানবিক সাহায্য পৌঁছাতে যাওয়া এই বহরে ৪০টিরও বেশি জাহাজ রয়েছে। এর আগে গাজার চলমান মানবিক সংকট নিরসনে একাধিকবার সাগরপথে সাহায্য পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হলেও ইসরাইলি নিষেধাজ্ঞার কারণে তা বহুবার বাধার মুখে পড়ে। তবুও মানবিক সহায়তার কাফেলা থেমে নেই।